• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘শুধু ধর্মের নামে রাজনীতি হয় না’

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৫৭
নীলফামারী প্রতিনিধি

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির পিতা নন, তিনি একজন বহুমাত্রিক নেতা ছিলেন। এটা আমার কোন আবেগের কথা নয়, এটাই বাস্তবতা। তিনি বলেন, ভোট আর বক্তব্য দিয়ে নেতা হওয়া যায় না। কিভাবে এত মানুষ তার ডাকে সাড়া দিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি আঙ্গুল তুলে বললেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে তার কথায় ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিলেন। এটি বঙ্গবন্ধুর দ্বারাই শুধু সম্ভব হয়েছিল। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের অগণিত মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আনেন সেটা হলো অস্প্রদায়িক রাজনীতি। শুধু ধর্মের নামে রাজনীতি হয় না।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের শহীদ মিনার চত্তরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী ও শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।

বিদেশের মানুষ দেশের পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। কোন ধর্মের মানুষ তা কিন্ত তারা বলেন না। যেমন আমরা এখন বলি বাংলাদেশি। বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা শ্লোগানের পতাকা তলে সবাইকে এক করে দেশের মুক্তি সংগ্রামে জাগ্রত করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা।

তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশকে অস্বীকার করে। স্বাধীনতা পরবর্তী হাজারো সমস্যার মাঝে দেশটাকে সাজিয়েছেন তিনি। এখন দেশের আর্থিক উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষির বিপ্লব ঘটেছে। সারের পিছনে মানুষ ঘুরে না। সার নিতে গিয়ে মানুষ আর মরে না। চট্টগ্রামের রাস্তা ৮ লেন হচ্ছে। নীলফামারী জেলা শহরের রাস্তা ৪ লেন হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়ছে। কৃষক ধানের দাম পাচ্ছে। কৃষির জন্য কৃষক বিদ্যুৎ পাচ্ছে। চাষের জন্য বিনামুল্যে বীজ পাচ্ছে, মানুষ চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ পাচ্ছে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন দেশটাকে বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আগুন সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে। স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে নূর বলেন, দেশটার বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ধর্মের নামে যারা রাজনীত করছে তাদের রুখতে হবে।

এর আগে মন্ত্রীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোক র‌্যালী বের করে জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্তরে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. মজিবুল হাসান শাহিন, কৃষকলীগের সভাপতি এ্যাডঃ অক্ষয় কুমার রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডঃ রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপ্পী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আল মাসুদ আলাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল প্রমুখ।

/পি.এস

নীলফামারী,রাজনীতি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close