১১ সিটিতে কোরবানির জন্য ২৯৫৪টি স্থান নির্ধারণ
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের ১১ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানির জন্য দুই হাজার ৯৫৪ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে সিটি কর্পোরেশনগুলোর কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
ওই সভায় জানানো হয়, নির্ধারিত এই স্থানগুলোতে সাত লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ পশু কোরবানি হতে পারে। সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গরুর হাটের বসবে ৯৪টি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬২০, ঢাকা উত্তরে ৫৪৩, রাজশাহীতে ২১০, চট্টগ্রামে ৩১৪, খুলনায় ১৬৩, বরিশালে ১৩৫, সিলেটে ৩৬, নারায়ণগঞ্জে ১৮৩, কুমিল্লায় ১৯০, রংপুরে ১১৭ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪৪৩টি স্থান পশু কোরকাবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মেয়রদের প্রতি প্রচারণা চালানোর অনুরোধ থাকলো। নির্ধারিত স্থানেই যেন কোরবানি হয়। খোলা স্থানে কোরবানি কোনভাবেই এনকারেজ করব না।
তিনি আরও বলেন, নিজের জায়গায় কেউ কোরবানি দিলে তাকে অবশ্যই বর্জ্য পুতে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলরদের তদারকি করার অনুরোধ থাকলো। আমাদের এমন কোনো আইন নেই যে খোলা জায়গায় কোরবানি করলে শাস্তির বিধান করা যাবে। আবার ধর্মীয় ব্যাপারে এসব করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
মন্ত্রী গত ২-৩ বছরে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করেন ওই সভায়। ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান ও অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
/রবিউল