ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেফাতউল্লাহর বিরুদ্ধে: আইজিপি (ভিডিও)
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনায় সেফাতউল্লাহ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। ফেসবুকে নানান ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় অবস্থান করা সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা। কুৎসা রটানোর অভিযোগে সেফাতউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ।
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন সেফাত উল্লাহ সেফুর মতো যারা বিদেশ থেকে ‘গুজব’ বা কুৎসা রটাবে, তাদের ব্যাপারে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না? জানতে চাওয়া হলে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বিশ্বের যে প্রান্ত থেকে যে-ই এমন গুজব রটাক, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনে পুলিশকে সেই ক্ষমতা দেওয়া আছে।
সম্পর্কিত খবর
ফেসবুক ট্রলের একটি বড় অংশের এখন কথিত সেফুদা ও আসাদ পংপংদের আধিপত্য। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের চর্চা মানুষের শুভবুদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিদেশেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফেসবুক ও ইউটিউবের অপব্যবহার বাড়ছে। আমাদের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ভিয়েনা বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও প্রবাসী সাংবাদিক আহমেদ ফিরোজ জানান, ‘ভিয়েনা বাংলাদেশ কমিউনিটির এক পারিবারিক ঝগড়ার কারণে কোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন ভিয়েনায় জেল খাটেন সেফাতউল্লাহ। মুক্ত হবার পর অস্ট্রিয়ার আইন অনুযায়ী তার লিগ্যাল হবার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে। স্ত্রী সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেফাতউল্লাহ।’
আহমেদ ফিরোজ জানান, ‘সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতি মানুষের আগ্রহ তাকে আরো বেশি উন্মাদ করে তুলেছে। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন সেফাতউল্লাহ।’
তিনি আরো জানান, ‘সেফাতউল্লাহকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে অস্ট্রিয়া সরকার। ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে আসার সময়েই তিনি বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন, যাতে বাংলাদেশি জনগণ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। আর এই কারণ দেখিয়ে তিনি অস্ট্রিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার পথ সুগম করতে চান।’
ফেসবুক ট্রলের একটি বড় অংশের এখন কথিত সেফুদা ও আসাদ পংপংদের আধিপত্য। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের চর্চা মানুষের শুভবুদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিদেশেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফেসবুক ও ইউটিউবের অপব্যবহার বাড়ছে। আমাদের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।