• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ সেপ্টেম্বর

প্রকাশ:  ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৭:২৪ | আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩২
আদালত প্রতিবেদক

বহুল আলোচিত প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে করা মামলার শুল্ক ফাঁকিসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪সেপ্টেম্বর ধার্য্য করা হয়েছে।

ঢাকা অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর রোববার (১২ আগস্ট) এ দিন ধার্য করেন।

সম্পর্কিত খবর

    গত ২০১৭ সালের ১ আগষ্ট গুলশান থানা থেকে এমামলার এজাহারটি আদালতে আসে। ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নুর নবী এজাহারটিতে স্বাক্ষর করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাখেন।

    সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের অভিযোগে গত ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ এ মামলাটির তদন্ত করছে।

    শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রেঞ্জ রোভার গাড়ী ভোলা বিআরটিএ-র কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং এর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ১৭ লক্ষ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব অ্যান্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন প্রিন্স মুসা। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিলাশ বহুল এগাডী়তে ২.১৭ কোটি টাকার শুল্ক কর দেয়া প্রয়োজন ছিল।

    শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।

    গত ২০১৭ সালের ২১ মার্চ প্রিন্স মুসা গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দা অভিযান চালিয়ে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি আটক করে। কার্নেট সুবিধায় আনা গাড়িটি সুবিধার অপব্যবহার এবং ব্যক্তিগত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ভুয়া শুল্ক পরিশোধের কাগজ ব্যবহার করা হয়।

    শুল্ক গোয়েন্দা এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসে শুল্ক ফাঁকির মামলা দায়ের করেছিল। অন্যদিকে, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

    মুসা বিন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close