• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘জাতীয় নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হচ্ছে না’

প্রকাশ:  ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হবে।

মঙ্গলবার (০৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক চলাকালে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।

মুহিত বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদ হার সমন্বয় (কমানো) হবে না। সুদহার সমন্বয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে; কিন্তু ওই কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে নির্বাচনের পর।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হলে ব্যাংক হিসাব না থাকলে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে চেকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

জানা যায়, সঞ্চয়পত্রের সুদহার ব্যাংকের চেয়ে বেশি হওয়ায় মানুষ এর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের বিনিয়োগ করতে পারছে না। তারল্য প্রবাহ বাড়াতে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। বিভিন্ন সময় সঞ্চয়পত্রের সুদ কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে।

এদিকে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে আমানত ও ঋণের সুদহার যথাক্রমে ৬ ও ৯ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

এসব কিছুর পরও বেসরকারি ব্যাংক আশানুরূপ আমানত সংগ্রহ করতে পারছে না। গোপনে নিজেদের মত উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ করছে।

বিষয়টি নিয়ে সর্বশেষ চলতি মাসের ২ আগস্ট রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগে (ইআরডি) কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ৮ আগস্ট সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কত হবে তার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। একদিন আগেই সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কমিটি গঠন করা ছাড়া আরও কোনো বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেননি মুহিত। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদী পরিবার সঞ্চয়পত্রে মেয়াদ শেষে সুদ পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। ৫ বছরমেয়াদী পেনশন সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। ৩ বছর মেয়াদী মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ৩ বছর মেয়াদী ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শামসুন্নাহার বেগমসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওএফ

অর্থমন্ত্রী,মুহিত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close