• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মার্কিন দূতাবাস ও জাতিসংঘের বিবৃতি অযাচিত ও অনভিপ্রেত: ইনু

প্রকাশ:  ০৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন নিয়ে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস ও জাতিসংঘের বাংলাদেশের কার্যালয় থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেটি অযাচিত ও অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। একই সঙ্গে এই বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ইনু বলেন, আন্দোলনে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আজই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

    মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ইনু এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন চলাকালে ঢাকা শহরের প্রকৃত চিত্র নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি মার্কিন দূতাবাস। তারা মনগড়া বিবৃতি দিয়েছে। এটা অত্যন্ত দু:খজনক। তাদেরও দেয়া বিবৃতির মধ্যে দিয়ে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত নাক গলানোর অপপ্রয়াস করেছেন। আমরা এর নিন্দা করি।

    মন্ত্রী বলেন, আমি এ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি। মার্কিন দূতাবাসকে এ বিবৃতি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে নিয়োজিত জাতিসংঘের যে প্রধান তিনিও এ ধরনের একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আমার কথা হচ্ছে এ দুটো বিবৃতিই নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়ে সঠিক নয়।

    ইনু বলেন, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন মাঠে নেমে কোনো অরাজকতা ছাড়াই বিভিন্ন যানবাহনে লাইসেন্স চেকিং করে তখন আমরা পুলিশকেও বলেছি, তারা যেন শিক্ষার্থীদের একাজে বাধা না দেয়। এ ফাঁকে তারা বিভিন্ন পরিবহনে অনিয়মগুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালায়। প্রশাসন এসময় তাদের পাহারা দিয়ে রাখে।

    তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করেন এবং তাদের নয় দফা দাবি মানতে নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে কিছু দাবি প্রধানমন্ত্রী ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মধ্যদিয়ে কার্যকর করা শুরু হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা খেয়াল করলাম বাইরে থেকে কেউ কেউ উস্কানি দিচ্ছে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার একটা অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কতিপয় চিহ্নিত মহল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে আক্রমণ করে। সেই ক্ষেত্রে যখন বাইরের উস্কানিদাতাদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের সংঘর্ষ হয় এবং আমরা শিশুদের রক্ষার চেষ্টা করি। তবে পরিষ্কার কথা হচ্ছে শিশুদের ওপর কোনো দমন পীড়ন করা হয়নি।

    তিনি বলেন, আমি সরকারের পক্ষ থেকে দেশের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘের এ বিবৃতি অনভিপ্রেত মনে করি। এটা অযাচিত বলে মনে করি।

    মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন নয় দফা দাবি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন তৈরি করা হয়েছে। সব ধরনের দাবিতে সরকারের আন্তরিকতা আছে। আর যারা মিথ্যাচার করার চেষ্টা করেছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের বাংলাদেশের প্রধানও এ ধরনের একটি বিবৃতি দিয়েছেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সঠিক বিবৃতি নয়। সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি জাতিসংঘের এই বিবৃতিকে অনভিপ্রেত ও অযাচিত বলে মনে করেন। তিনি আশা করেন, তাঁরা এ ধরনের বিবৃতি আর দেবেন না এবং বাংলাদেশের প্রকৃত ঘটনার ভিন্ন চিত্রায়ণ করবেন না। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য লিখিতভাবে দুই দপ্তরে পাঠানো হবে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের শেষের দিকে কিছু জায়গায় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা দুঃখজনক। হামলাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আজই চিঠি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৌখিকভাবেও ইতিমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close