• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পাবনা-২ আসন

আ.লীগের চ্যালেঞ্জ ধারাবাহিকতা, বিএনপি’র পুনরুদ্ধারের

প্রকাশ:  ২৬ জুলাই ২০১৮, ১৯:২৯ | আপডেট : ২৭ জুলাই ২০১৮, ১২:৩৫
পাবনা প্রতিনিধি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী ৫ মাস বা তার কিছু কম সময়। এরই মধ্যে পাবনার ৫টি আসনে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আ.লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপ এবং এলাকায় শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন একডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ আসন বর্তমানে আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে। তাই বিএনপির জন্য চ্যালেঞ্জ একক প্রার্থী দিয়ে আসন পুনরুদ্ধার করা আর আ.লীগ চাইবে ধরে রাখতে।

পাবনার সুজানগর উপজেলা ও বেড়া উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত পাবনা-২ আসন। এই আসনে ভোটার রয়েছে প্রায় দুই লাখ ৩৫ হাজার। ১৯৯১ সালে এই আসনে আ.লীগের আহম্ম তফিজ উদ্দিনকে হারিয়ে জয় পায় বিএনপির প্রার্থী ওসমান গণি খান। পরেরবার ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫শ’ ভোটের ব্যবধানে নৌকার তফিজ উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন ধানের শীষের ওসমান গণি। ২০০১ সালে দুই দলেরই প্রার্থী পরিবর্তন হয়। সেবার আ.লীগের মির্জা আব্দুল জলিলকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সংস সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব।

সম্পর্কিত খবর

    ২০০৮ সালে নৌকার নতুন প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের কাছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হেরে যায় বিএনপির সেলিম রেজা হাবিব। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে এ কে খন্দকারের উপর ক্ষুব্ধ হয় আ.লীগ। আর তিনিও রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ফলে ২০১৪ সালে আ.লীগের মনোনয়ন নিয়ে আজিজুল হক আরজু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করার পাশাপাশি পোস্টার এবং বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে তাদের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন। এই আসনে আ.লীগের ধারাবাহিক পরিবর্তনের আশায় এবারও মাঠে নেমেছে একাধিক নেতা।

    মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন, বর্তমান সাংসদ আজিজুল হক আরজু, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুজানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ফিরোজ কবির, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ড. মির্জা জলিল, পাবনা জেলা আ.লীগের উপদেষ্টা রাকসুর সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সাঈদুর রহমান। তবে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন আহমেদ ফিরোজ কবির ও ড. মির্জা জলিল। বর্তমান সাংসদ আজিজুল হক আরজু’র অবস্থা নাজুক বলে জানা গেছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইমরান সিরাজ সম্রাট। চেষ্টা করছেন দলীয় মনোনয়ন পেতে। মাঠে নেতাকরর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।

    অপরদিকে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে মাঠে নেমেছে বিএনপির একাধিক নেতা। প্রার্থী হতে গণসংযোগ চালাচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কে এস মাহমুদ, সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম সাজ্জাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান জাফির তুহিন, পাবনা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি ও সুজানগর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরশেদ আলম, সুজানগর থানা বিএপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম হোসেন মন্ডল। তবে মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন সেলিম রেজা হাবিব, আব্দুল হালিম সাজ্জাদ ও অ্যাডভোকেট আরশেদ আলম। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হবেন জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি মকবুল হোসেন সন্টু।

    দেশ স্বাধীনের পর থেকে শম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আসনটি থেকে চারবার আ.লীগ, তিনবার বিএনপি এবং একবার জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আসনটি থেকে একবার জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও বিগত নির্বাচনের ফলাফল তথা নির্বাচনী মাঠের বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী মূলত আসনটিতে আ.লীগ এবং বিএনপির শক্ত অবস্থান রয়েছে।

    সে কারণে এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে আ.লীগ ও বিএনপি দলীয় প্রার্থীর মধ্যে। প্রার্থী নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে দলের জয় পরাজয়।

    ওএফ

    আ.লীগ বিএনপি
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close