কক্সবাজারমুখী মোবাইল ব্যাংকিং দুই মাস বন্ধের অনুরোধ র্যাব মহাপরিচালকের
মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারমুখী মোবাইল ব্যাংকিং দুই মাস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
রোববার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানকে সামনে রেখে মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অনুরোধ জানান।
সম্পর্কিত খবর
র্যাবের ডিজি বলেন, কক্সবাজারে মাত্র ২৩ লাখ লোকের বসবাস। সেখানে কোনো কল-কারখানা নেই। তাহলে প্রতিমাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শতকোটি টাকার লেনদেন যায় কোথায়? সন্দেহ রয়েছে এটা অবৈধ লেনদেন এবং মাদক সংশ্লিষ্ট লেনদেন। তাই অন্তত দুই মাসের জন্য কক্সবাজারমুখী সব মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ করার অনুরোধ করছি। আমরা বিষয়টি দেখতে চাই।
বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকবিরোধী র্যাব ও পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের পরেও মাদক প্রবেশ করছে। গত ১ সপ্তাহে ১১টি দূরপাল্লার বাস জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি বিলাসবহুল গাড়ি। এক্ষেত্রে বাস মালিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে ৮০ হাজার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। চলতি বছরের ৩ মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গত ৮০ দিনে ১০২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য জব্দসহ প্রায় ১০ হাজার লোককে মাদক সংশ্লিষ্টতায় গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব ডিজি আরো বলেন, এ সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫ হাজার ৮৭৭ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ১ হাজার ৭১৩টি নিয়মিত মামলায় ২ হাজার ৯৫৯ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৩৮ জনকে ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত ৮০ দিনে ১ হাজার ৭৯১টি অপারেশন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৩৭টি অপারেশন ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। এ অপারেশনে ৪৭ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও বর্তমানে ৭০-৮০ লাখ মাদকসেবী রয়েছেন। এর মধ্যে যদি ৬০ লাখ ইয়াবাসেবী ও ১০ লাখ অন্যান্য মাদকসেবী হয়, তাহলে প্রতি বছর অন্তত মাদকে ১ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এটা মৌচাকে ঢিল নয়, ভিমরুলের চাকে ঢিল। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
-একে
