• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ৩১ অক্টোবর

প্রকাশ:  ২২ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। বহুল আলোচিত এ মামলার প্রধান আসামী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রোববার (২২ জুলাই) আদালতে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।

সম্পর্কিত খবর

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন পুলিশ হেফাজত থেকে মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হয়।

    হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

    দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জন বিচারক বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন।

    ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি মামলার ২৩তম বিচারক হিসেবে ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। মামলার অন্য দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে। এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।

    মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন মামলার প্রধান আসামী এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

    বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে চলমান এ মামলাটি রাজনীতির কূটকৌশলের কারণে গত ২৩ বছর ধরে ঝুলে আছে।

    মঞ্জুর হত্যা মামলা
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close