গণসংযোগে বোমা হামলা, বিএনপি নেতার দায় স্বীকার
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গণসংযোগে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু।
রোববার (২২ জুলাই) আরএমপি সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার এ কথা জানান।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, মতিউর রহমান মন্টু ফোনে কথার বিষয়টিও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ফোনালাপে তিনি বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত ও জাভেদ নামের দুজনের কথা বলেছেন। এ ছাড়া নাটোর বিএনপির এক নেতার কথা বলেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
শনিবার (২১ জুলাই) ইন্টারনেটে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলামের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ওই ফোনালাপের সূত্র ধরেই মন্টুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আরএমপি কমিশনার বলেন, মন্টু নিজেই স্বীকার করেছেন যে কথোকপথনটি তাদের। তাছাড়া এই ঘটনায় দলের নেতাকর্মীরাই জড়িত বলেও তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। মন্টু পরিচিত মানুষ। কণ্ঠটা আপনারা (সাংবাদিকরা) নিজেরাও বুঝতে পারছেন নিশ্চয়।
তিনি বলেন, মন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা এবং যারা ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। মামলার তদন্ত কাজও চলবে, আসামিরাও গ্রেফতার হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বিএনপি নেতা মন্টুকে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলাটিতেই গ্রেফতার দেখানো হবে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রয়োজনে তার রিমান্ডেরও আবেদন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাগরপাড়া বটতলার মোড়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রদল গণসংযোগ করার সময় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, একজন সাংবাদিকসহ তিনজন আহত হন।
ওই হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। এই মামলায় হিমেল (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
/এসএম