• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

৪৪ বছর পর ফাইনালে গোল বন্যা

প্রকাশ:  ১৫ জুলাই ২০১৮, ২৩:৪১ | আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৮, ২৩:৫০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়ার অঘটনের বিশ্বকাপে শেষপর্যন্ত ফেভারিটদের দখলেই শিরোপা গেল, স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ডার্ক হর্সদের। দুই দশক পর ফের বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিল ফ্রান্স। কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন দিদিয়ের দেশম। প্রথমবার ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলো ফ্রান্স।

এবারের আসরে অসংখ্য রেকর্ড গড়ার ধারাবাহিকতা ফাইনালেও ছিল অব্যাহত। একটি নয়, এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডের মুখ দেখেছে ফুটবলবিশ্ব। বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোল করার রেকর্ড গড়েছেন মারিও মানজুকিচ। রেকর্ড আরো একটি হয়েছে। ১৯৩০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর পর ফাইনালের প্রথমার্ধেই তিন গোলের বেশি হয় ১৯৭৪ সালে। সেবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল পশ্চিম জার্মানি।

৪৪ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের এমন গোলের বন্যা দেখল বিশ্ব। রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধ যেন গোলের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। ফাইনালে ফ্রান্স ফেভারিট হলেও শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। তবে কাজের কাজটি করেই ফরাসিরাই।

অঘটনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় ফাইনালের গোল বন্যা। খেলার ১৮তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েটরা। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়লেও সমতায় ফিরেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ভিদার শটে বল পেয়ে দারুণ শটে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন সেমিফাইনালের নায়ক ইভান পেরেসিচ।

খেলার ৩৮তম মিনিটে ফের নিজেদের দোষে গোল হজম করতে হয় ক্রোয়েশিয়াকে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের বক্সে পেরিসিচের হাতে লাগে। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও ফ্রান্সের ফুটবলারদের জোরালো আবেদনের কারণে তাকে ভিএআরের দারস্থ হতে হয়। ফলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেননি গ্রিজম্যান। পেনাল্টি থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন গ্রিজমান। এটিই বিশ্বকাপের কোনও আসরের ফাইনালে প্রথম পেনাল্টি। স্পট কিক থেকে টুর্নামেন্টে এটি নিজের চতুর্থ গোল।

বিরতির পর গোলের জন্য মরিয়া ক্রোয়েশিয়া আক্রমণে যায়। কিন্তু লরিসের কল্যাণে তারা গোল বঞ্চিত হয়। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে গোলটি করলেন পল পগবা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ-পায়ে জোরালো শট নেন পগবা। গোলরক্ষক সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় জালে।

এর ছয় মিনিট পর অর্থাৎ ৬৫ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন এই পিএসজি তারকা।

এবারের বিশ্বকাপ গোলরক্ষকদের জন্য অভিশাপ হয়েই রইল। ফর্মের তুঙ্গে থাকা গোলরক্ষকরা শিশুসুলভ ভুল করলেও বাকি ছিলেন ফ্রান্সের হুগো লরিস। ফাইনালের মঞ্চে তিনিও দৃষ্টিকটু ভুল করে বসেন। ৬৯ মিনিটে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার লরিসকে ব্যাক পাস দেন। কিন্তু রক্ষণমুখে থাকা মানজুকিচকে কাটাতে গিয়ে তার পায়ে লেগে গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স।

ফ্রান্স,France
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close