সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে তারা কোনো নিয়ম না মেনে সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ক্ষমতাকে চীরস্থায়ী করতে চাইছে।
বৃহস্পতিবার (১২জুলাই) সন্ধ্যায় গুলশানের লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিনে ৫০০ এর অধিক বিএনপি নেতা কর্মী হারিয়ে গেছে। ১০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সারাদেশে ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে এই ছবিগুলো দেখছি। মাদক নিয়ন্ত্রণের নামে লাশ পড়ে থাকছে। এ বিষয়গুলোকে আমরা অনেকবার সামনে নিয়ে এসেছি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের সামনে যে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হলো তারপরে আর বেশি ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, যা আপনারা গত কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেখেছেন।
আগামী নির্বাচন বিএনপিকে ছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও কূটনীতিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন। এসময় তিনি কোটা আন্দোলনকারীদের ওপরে নির্যাতনের বিষয়ও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, শওকত মাহমুদ, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, রুহুল আলম চৌধুরী, এম এ কাইয়ুম, হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুকমোল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মাহবুব উদ্দিন খোকন। সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ইমরান সালেহ প্রিন্স সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা, ফাহিমা মুন্নী, মীর হেলাল উদ্দীন।
অন্যদের মধ্যে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ( ডিইউজে) একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জি-নাইন এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সায়ন্থ সাখাওয়াত প্রমুখ।
কূটনীতিকদের মধ্য, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মানবাধিকার বিষয়ক সচিব মাইক ক্রেমার, ফ্রান্স দূতাবাসের উপ-প্রধান জ্য পিয়ের পশে, ভারতীয় দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের শান্তনু মূখার্জীসহ কানাডা, সুইডেন, পাকিস্তান, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
/আরকে