জামিন পেলেন মিঠুনের ছেলে-স্ত্রী, মুখ ফিরিয়ে নিলেন পাত্রী
শনিবারই চার-হাত এক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে আশায় কার্যত এক ঘড়া ঠাণ্ডা পানি পড়ল। বিয়ের আসরেই বিয়ে বাতিল মিঠুনপুত্র মহাক্ষয় ওরফে মিমোর। ধর্ষণ ও প্রতারনা মা্মলায় পরে দিল্লির আদালত এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মা-ছেলের জামিন দিলেও অবশ্য পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান।
মিঠুন চক্রবর্তীর উটির হোটেল ‘দ্য মোনার্ক’-এ মিমো ও দক্ষিণী অভিনেত্রী মাদলসার চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল শনিবার। কিছু দিন আগেই এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মিমোর বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট দিনেই বিয়ে হবে জানিয়েছিল বর-কনের পরিবার। সেই মতো বিয়ের আসরও বসে বিলাসবহুল ওই হোটেলে। কিন্তু বিয়ের আসরেই উপস্থিত হন তদন্তকারী অফিসাররা। এরপরেই ভেস্তে যায় বিয়ে।
সম্পর্কিত খবর
অনেকেই বলছেন, মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক ভোজপুরী অভিনেত্রী। দিল্লির রোহিনী আদালতে প্রতারণার মামলা আনা হয় মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধেও। আর এরপরেই বম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন তারা। তাদের সেই আর্জিই খারিজ করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
তবে তারা দিল্লি আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় গডকড়ী।
এদিকে অভিযোগকারিণীর আইনজীবী রবি সোনি জানিয়েছেন, মহাক্ষয় গত ৪ বছর ধরে চেনেন অভিযোগকারিনীকে। মিমো তার উপর যৌন নির্যাতন করেছেন এবং তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তার পানীয়তে ঘুমোর ওষুধ মিশিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মিমো আমার মক্কেলকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছিলেন। এমনকি বিয়ের জন্য মিমোর সঙ্গে আমার মক্কেলের ঠিকুজি কুষ্ঠিও মেলানো হয়। তবে পরে আমার মক্কেলকে বিয়ে করতে পুরোপুরি অস্বীকার করেন মিমো। তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তাকে জোর করে গর্ভপাত করান মহাক্ষয় ও তার মা যোগিতা বালি।
/অ-ভি