‘তামাক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে’
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তামাক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ্ জাতি গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্পিকার এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। বিশেষ করে ই-ধূমপান প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এছাড়াও এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে একটি টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুস্থ্য জাতি গঠনে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। যা তামাক বিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় হবে।
তিনি আরো বলেন, সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই তামাক বিরোধী প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদ ভবনস্থ স্পিকারের দপ্তরে আয়োজিত ওই সভায় অংশ নেন জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুমানা হক, আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সচেতন সংস্থার প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, পার্লামেন্ট নিউজের সাকিলা পারভীন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সৈয়দ সাইফুল আলাম শোভন।
এসএফ