আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে যৌনকর্মীদের সাথে রাত কাটালো ক্রোয়েশিয়া
রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট দল আজেন্টিনার। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পর আর্জেন্টাইনদের আর খুঁজে পাওয়া গেল না। ৩-০ গোলে হেরে গেল মেসির দল। দুর্দান্ত জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া।
সম্পর্কিত খবর
এদিকে ম্যাচ জয়ের পর ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা জয়ের আনন্দে জড়িয়ে গেলেন নারী কেলেঙ্কারিতে। রাতভর যৌন নারীদের সাথে কাটালো জয়ী খেলোয়াড়রা।
রাশিয়ান গণমাধ্যম স্পোর্টসবক্স জানায়, ফেবারিট আর্জেন্টিনার সাথে জয়ের পর ক্রোয়েশিয়া খেলোয়াড়রা যৌনকর্মীদের সাথে রাত কাটান। খেলোয়াড়রা ফুরফুরে মেজাজে থাকার জন্য যৌন কর্মীদের সাথে লিপ্ত হবার আবেদন করেন। তাদের সে দাবি রাখতেই ব্যবস্থা নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরে খেলা ছাড়াও বারবার খবরের শিরোনাম হচ্ছে যে বিষয়, সেটি হলো দেহব্যবসা। দেশটিতে এটি অবৈধ হলেও বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে, গোপনে রয়েছে যৌনপল্লী। সপ্তাহখানেক আগে রাশিয়া পাঠানোর চেষ্টাকালে ১০ নাইজেরীয় শিশুকে উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ডি গ্রুপে ২ ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ক্রোয়েশিয়া। ১ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে পরেই রয়েছে আইসল্যান্ড। তারপরে দুই ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা। ১ ম্যাচে ১ হার নিয়ে শূন্য পয়েন্টে সবার নিচে নাইজেরিয়া।
তবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের সেই নড়বড়ে পারফরম্যান্সই যে মূল পর্বেও থেকেও যাবে তা ভাবেননি বোধহয় অতিবড় আর্জেন্টিনা বিদ্বেষীও। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে দুঃস্বপ্ন উপহার দিলেন মেসিরা। নড়বড়ে ডিফেন্স, প্রপার কনভার্টারের অভাব ভোগালো দলকে আর যার ফল স্বরূপ ৬০ বছর বাদে বিশ্বকাপের মঞ্চে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেল তারা। এর আগে ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন চেকোশ্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে ৫-১ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা ৷
এদিকে বিশ্বকাপের বিদায় ঘণ্টা কার্যত বেজে গেছে এই অবস্থায় মেসির আরও একবার অবসর নেওয়ার কথা সর্বত্র। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাক্তন ফুটবলার সকলেরই মত বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো নিজের জাতীয় দলের জার্সিতে ইতি টানবেন মেসি।
বিশ্বকাপের অন্যতম সর্বকালীন সেরা মেসির জাতীয় দলের জার্সিতে হাত ফাঁকা রেখেই হয়তো কেরিয়ারে ইতি টানতে হবে। মেসিকে বারংবারই ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করা হয়। ১৯৮৬ তে কার্যত ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। আর মেসির শেষটা যদি এভাবে হয় তাহলেও কিন্তু তার বড় কষ্টের ম্যাজিশিয়ানের নিজের জন্য, আর তার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ফ্যানেদের জন্য।
/এস কে