গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: বার্নিকাট
শরণার্থী বিষয়ে বাংলাদেশ আশা ও উদ্দীপনার আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ বিষয়ে গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশটি।
২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসটি সামনে রেখে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
সম্পর্কিত খবর
মার্শা বার্নিকাট লিখেছেন, ‘নির্যাতিত মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং নৃশংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব উপায় খতিয়ে দেখতে আমরা বন্ধু দেশ ও সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছি।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা বার্মার (মিয়ানমার) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই সংকট নিরসনে একটি গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো অব্যাহত রেখেছি। এ জন্য আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবিলম্বে উপদ্রুত এলাকায় মানবিক সহায়তা ও গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দান এবং স্বেচ্ছায় নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরতে ইচ্ছুক মানুষ যাতে তা নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে করতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন।’
রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপরও জোর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত। তিনি কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমারে তাদের বাসস্থান বা পছন্দের জায়গায় স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানের সাথে ও স্থায়ীভাবে ফেরানোর পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করার জন্য ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সিই হওয়া সমঝোতা স্মারককেও স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।