ক্রেতা শূন্য রাজধানীর কাঁচাবাজার
রাজধানীতে আসতে আরম্ভ করেছেন ঘরমুখো কর্মজীবী মানুষ। তবে এখনো রয়েই গেছে ঈদের আমেজ।তাই কাঁচাবাজারগুলো চলছে ভাটা। ক্রেতার সংখ্যাও অনেক কম। সবমিলিয়ে এখনও প্রাণ পায়নি রাজধানীর কাঁচাবাজার। এদিকে ঢিলেঢালা ভাব হলেও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিক্রেতাদের ভাবনা চলতি সপ্তাহ জুড়ে থাকতে পারে এমন অচলাবস্থা।
মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়। ব্যবসায়ী জানান, বাজারে নতুন সবজি আসতে আরম্ভ করেছে। রাজধানীবাসীদের ঈদের ছুটি শেষ তারপরেও গ্রামে থেকে কর্মজীবীরা না আসায় বেচা-বিক্রি তেমন নেই। বাজারে ক্রেতা কম হলেও ঈদের পরদিন থেকে রাজধানীতে সবজি আসতে শুরু করেছে।
সম্পর্কিত খবর
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮ টাকা এবং বিআর ২৮ ৫০-৫২ টাকা। প্রতিবছর রোজার ঈদের পর মাংসের বাজার অস্থিরতা দেখা গেলেও এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। গরুর মাংস প্রতি কেজি এখনও ঈদের আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে সেখানেও তেমন ক্রেতা নেই। একই বাজারের মাছ বিক্রেতারা জানান, সকাল থেকে খারাপ অবস্থা। দুপুরে দোকান পলিথিনে মোড়াবো। আর ক্রেতাদের মতে, অধিকাংশ মাছের দামই নাগালের মধ্যে।
খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ১ জোড়া মাঝারি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২ শ’ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বড় সাইজের গলদা চিংড়ি বিক্রি করছেন ১ হাজার টাকায়, মাঝারি সাইজ ৮০০ টাকা ও ছোট সাইজ ৫৫০-৬৫০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বন্যার কারণে শাঁকের দাম বাড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কমেনি। দেশি পেঁয়াজের দামও অপরিবর্তিত। কিছুটা কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।
সোমবারের সবজির বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাঁজর ৫০-৬০, আলু ২৫ টাকা এবং বরবটি ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৩৫-৪০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানান, প্রায় সব সবজির দামই গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা করে বেড়েছে।
ওএফ