• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কুতুবদিয়া থানার সাবেক ওসি কারাগারে

প্রকাশ:  ১৯ জুন ২০১৮, ১৪:৪২ | আপডেট : ১৯ জুন ২০১৮, ১৪:৪৭
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ জুন) বেলা ১২ টায় তাকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম।

আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ হোসেন ও এসআই এবি.এম কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে মামলা করে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ছিন্নি খাইয়ার পাড়া এলাকার ইস্কান্দার মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে ২০১৪ সালের ১৮ জুন সকালে ছিন্নি খাইয়ার পাড়ায় মৃত নজির আহম্মদ এর ছেলে উপজেলার ভূমি অফিসের কর্মচারী ফরিদুল আলমকে হত্যা করে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ডেজি ও ছেলে অহিদুল আলম (রিয়াদ)।

এ ঘটনায় নিহতের মা নুর জাহান বেগম বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ হোসেন এক লক্ষ টাকা দাবি করে। ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এস.আই এবি.এম কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে আলতাফ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা দেয় ওই বৃদ্ধা।

কিন্তু ওসি আলতাফ হোসেন নুরজাহানের দায়ের করা এজাহারটি আমলে নেয়নি। উল্টো নিহতের ছেলে মোহাম্মদ তৌহিদুল আলমের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে একটি মামলা গ্রহণ করে। যার কুতুবদিয়া থানার মামলা নং ১৫। জি আর নং ৭৫/১৪। ওই মামলায় নিহতের বৃদ্ধ মা নূর জাহান নিহতের দুই ভাই ইস্কান্দর মির্জা মাহবুব আলমকে ও আসামি করা হয়। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল দুই ভাই।

এ নিয়ে ইস্কান্দর মির্জার স্ত্রী জামিলা আকতার বাদি হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে কুতুবদিয়া থানার ওসি আলতাফ ও এস আই এবিএম কামাল উদ্দিন কে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে।

দুদকের পিপি এডভোকেট আবদুর রহিম জানান, বাদীনির লিখিত অভিযোগ পেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের তৎকালীন সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলাটি আমলে নিয়ে দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২১০৭ সালের ১৫ মার্চ ওসি এবং এস আই ‍দুইজনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা অজয় ঘোষ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে আদালতে আত্মসমর্পণ করে ওসি আলতাফ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ওসি আলতাফ আত্মসমর্পণের সময় সঙ্গে বাদীনিকে নিয়ে আসে। বাদী মামলাটি সামাজিকভাবে সুরাহা করা হয়েছে বলে আদালতে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে আদালত ওসি’র জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৬ জুন।

কুতুবদিয়া থানা,সাবেক ওসি,কারাগার,কক্সবাজার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close