ধর্মগুরুর আশ্রম থেকে ৬০০ নারী শিষ্য ‘নিখোঁজ’, ধর্ষণের অভিযোগ
ভারতে স্বঘোষিত এক ধর্মগুরুর আশ্রম থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ৬০০ নারী শিষ্য। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আশ্রমের এক নারী শিষ্যকে ধর্ষণেরও অভিযোগ উঠেছে।
স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর নাম দাতি মহারাজ। তার একাধিক আশ্রম আছে। তার মধ্যে দক্ষিণ দিল্লির ফতেপুর এলাকার আশ্রমটি অন্যতম। এই আশ্রমের নাম ‘শ্রী শান্তি ক্ষেত্র’।
সম্পর্কিত খবর
দাতি মহারাজের বিরুদ্ধে তার আশ্রমের এক নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী তরুণীর ভাষ্য, তিনি প্রায় এক দশক ধরে দাতি মহারাজের শিষ্য ছিলেন। ২০১৬ সালে তাকে ধর্ষণ করেন ধর্মগুরু ও তার দুই সঙ্গী। ঘটনার পর তিনি আশ্রম থেকে পালিয়ে যান।
ওই তরুণীর ভাষ্য, দাতি মহারাজের এক নারী শিষ্য তাকে জোর করে ধর্মগুরুর কক্ষে ঢুকিয়ে দিতেন। অন্য নারী শিষ্যদেরও শ্লীলতাহানি করতেন মহারাজ।
বিষয়টি দীর্ঘদিন চাপা ছিল। গত সোমবার ওই তরুণী আশ্রমের মহারাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় ফতেপুর বেরি থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগকারী তরুণী বলছেন, ধর্ষণের মামলা করার পর ধর্মগুরুর শিষ্যরা তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছেন। তাকে মামলা তুলে নিতে বলেছেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দাতী মহারাজকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশন।
রোববার রাজস্থানে দাতী মহারাজের আশ্রমে হানা দেয় পুলিশ। তবে সেখানে দাতী মহারাজকে পাওয়া যায়নি। তিনি আত্মগোপন করেছেন। দাতী মহারাজের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘লুক আউট’ নোটিশ জারি করেছে।
এদিকে দাতী মহারাজের আশ্রমে থাকা ৬০০ নারী শিষ্যের এখনো কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নারী শিষ্যরা নিজেদের ঘরে ফিরে গেছেন, নাকি তাঁদের অন্যত্র পাচার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
-একে