মুন্সিগঞ্জে মুক্ত চিন্তার লেখক-ব্লগার ও প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুর হত্যার নেপথ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।আনসার আল ইসলামের অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাচ্চু হত্যার সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ।শুক্রবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালেমনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শাজাহান বাচ্চুকে হত্যার পর সিটিটিসি'র দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। হত্যার আলামত পর্যালোচনা, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও নিহত বাচ্চুর প্রোফাইল ঘেঁটে এটিকে জঙ্গিগোষ্ঠীর হত্যা বলেই মনে হয়েছে। আনসার আল ইসলামই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা সন্দেহ করছি।'
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, ‘আনসার আল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের কাছে থাকা অস্ত্র পালানোর সময়ও ব্যবহার করে। লালমাটিয়ায় প্রকাশক টুটুল হত্যাচেষ্টার সময়ও তাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। আগ্নেয়াস্ত্র মূলত আত্মরক্ষার জন্য বা খুব বেশি প্রয়োজন না হলে তারা ব্যবহার করে না।'মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যার স্থানটি যেহেতু খুবই জনবহুল ছিল, চাপাতি দিয়ে খুন করে পালানো সম্ভব নয়, এমন ধারণা থেকেই তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পরে লোকজন এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।'তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার হওয়া সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’শাহজাহান বাচ্চুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যালোচনা করে ইতোপূর্বে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যার ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছেন সিটিটিসি প্রধান।গত ১১ জুন সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি হোটেলে চা পানের সময় মোটরসাইকেলারোহী দুই অস্ত্রধারী বাচ্চুকে গুলি করে হত্যা করে।