নেতার নির্দেশনা নিতে লন্ডনে এসেছি: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ এক মহাসংকটে নিপতিত। গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত। দেশের ‘মাটি মানুষের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা’ আজ কারাগারের অন্ধকার প্রকৌষ্ঠে বন্দি। এ অবস্থায় আমাদের প্রিয় নেতার (তারেক রহমান) নির্দেশনা নিতে লন্ডনে এসেছি।
রোববার (১০ জুন) পূর্ব লন্ডনের হাইস্ট্রিট নর্থ এর দি রয়্যাল রিজেন্সি হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে একটি ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
ফখরুল বলেন, পুরোপুরি বেইআইনিভাবে গায়ের জোরে ‘দেশনেত্রী’ খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে সরকার। এটা সরকারের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নীলনকশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আমাদের নেত্রীকে বিনাদোষে, পুরোপুরি অন্যায়ভাবে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এটা বানোয়াট মামলা।
তিনি বলেন, সংবিধানের একটি রায়কে কেন্দ্র করে দেশের প্রধান বিচারপতিকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) বন্দুকের নলের মুখে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইতে যাবো?
খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের অমানবিক আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে দেশে আটকে রেখেছে একটা কারণে। আর তা হলো তারা ‘দেশনেত্রীকে’ প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে। তারা চাইছে নেত্রীকে কারাগারে আটকে রেখেই কিভাবে জীবনাবসান ঘটানো যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির দুর্দিনে আমাদের একজন নেতাকর্মীকেও নিজেদের দলে টেনে নিতে পারেনি সরকার। আমরা খুব আশাবাদী, দেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি হবে। আমাদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন এবং তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দেশে মানুষ আতঙ্কে কথা বলতে পারছে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে আপনি নেতার আসনে আসীন হয়েছেন। আপনার চলার পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। আপনার দিকে দেশবাসী প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। দেশকে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে আনার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী যখন অবরুদ্ধ অবস্থায় তার কার্যালয় থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক এমনই সময়ে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান। মায়ের সামনে ছেলের লাশ, কত কষ্টের ভাবা যায়। তার বড় ছেলে আজ নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। স্বামী হারিয়েছেন শত্রুর হাতে, বড় ছেলে দেশের বাইরে আর তিনি কারাগারে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
গত ৩ জুন চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকা থেকে ব্যাংকক যান মির্জা ফখরুল। সেখানে চিকিৎসা শেষে ৮ জুন লন্ডনে পৌঁছান তিনি।