• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

গুরুকে মনে পড়ে

প্রকাশ:  ০৫ জুন ২০১৮, ১৭:৪৫ | আপডেট : ০৫ জুন ২০১৮, ১৭:৫৯
বিনোদন প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পপগুরু আজম খানের সপ্তম মৃত্যবার্ষিকী মঙ্গলবার (৫জুন)। তাঁর পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। যদিও সকলের কাছে তিনি গুরু বা আজম খান নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। ২০১১ সালের ৫ই জুন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এই গায়কের মৃত্যু ঘটে। তার হাত ধরে বাংলাদেশে পপসংগীতের যাত্রা হয় ও জনপ্রিয়তা আসে; তাই এ মানুষটিকে হারানোর শোকে আজও শোকাহত সংগীতাঙ্গন।

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন পপগুরু আজম খান। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান, মা জোবেদা খাতুন। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে জন্ম গ্রহণ করেন আজম খান। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন খান, মা জোবেদা খাতুন। মাত্র একুশ বছর বয়সে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন তিনি।

আজম খান ১৯৮১ সালের ১৪ই জানুয়ারি ঢাকার মাদারটেক এলাকায় সাহেদা বেগম কে বিয়ে করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। তাঁর এক ছেলে এবং দুই মেয়ে। প্রথম সন্তানের নাম ইমা খান এবং দ্বিতীয় সন্তানের হৃদয় খান এবং তৃতীয় সন্তানের নাম অরণী খান। সহধর্মিনী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবনযাপন করতেই ভালবাসতেন এই গায়ক।

প্রকৃতপক্ষে আজম খানের কর্মজীবনের শুরু ষাটের দশকের শুরুর দিকে। ১৯৭১ সালের পর তার ব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ (লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ) ভাতৃদ্বয় দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু নিলু আর মনসুরকে গিটারে, সাদেক ড্রামে আর নিজেকে প্রধান ভোকাল করে করলেন অনুষ্ঠান। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে সেই অনুষ্ঠানের এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে ও চার কালেমা সাক্ষী দেবে গান দু'টি সরাসরি প্রচার হলো প্রচার হলো। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দু'টো গান। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল। ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে বাংলাদেশ (রেললাইনের ঐ বস্তিতে) শিরোনামের গান গেয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘আমি যারে চাইরে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।

তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তার মাধ্যমে পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজের সাথে। এক সাথে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় গান করেন তারা। এরই মধ্যে আরেক বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার গান জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে! তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক!

প্রসঙ্গত, সঙ্গীতের পাশাপাশি মিডিয়ার অন্যন্য বিভাগেও ছিল তাঁর বিচরণ। ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ নামে একটি নাটকে এবং ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ নামক একটি বাংলা সিনেমায় ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০০৩ সালে প্রথম বিজ্ঞাপনের মডেল হন। পরবর্তীতে আরও কিছু বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাকে।

/এ আই

পপগুরু আজম খান,পপগুরু,আজম খান,মৃত্যবার্ষিকী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close