জেএসসি-জেডিসিতে থাকছে এমসিকিউ, কমছে নম্বর ও বিষয়: সচিব
ছাত্র-ছাত্রীদের উপর চাপ কমাতে আগামী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা থেকে নম্বর ও বিষয় কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনসিসিসি'র সভা শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভগের সচিব মো. সোহরাব হোসোইন সাংবাদিকদের একথা জানান। তবে এবছর পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে বলেও তিনি জানান।
সম্পর্কিত খবর
আন্ত:শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, “এমসিকিউ থাকছে। নম্বর ও বিষয় এবং সিলেবাসে পরিবর্তন আসছে কিনা তা এনসিসিসির ৩১মের সভায় সিদ্ধান্ত হবে।”
সচিবালয়ের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো: সোহরাব হোসাইন বলেন, “বিষয় ও নম্বর বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরেকটি বৈঠক হবে। জেএসসি-জেডিসিতে এমসিকিউর বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তই বহাল। এসএসসি ও এইচএসসিতে এমসিকিউ বন্ধ করতে হলে নানাদিক চিন্তা করতে হবে। এটা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত।”
এর আগে পরীক্ষার হলে এমসিকিউ অংশের উত্তরসহ সমাধান সরবরাহ এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এমসিকিউ বাদ দেয়ার সুপারিশ করে সরকার কর্তৃক গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি। সুপারিশের আলোকে এমসিকিউ বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগেই চলতি শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক সময় পার হয়ে যাওয়ায় চলতি বছরের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য অষ্টম শ্রেণির জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও জেডিসি (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় এমসিকিউ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এনসিসিসি।
এর আগে আন্ত:শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি সাব কমিটি জেএসসির পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর কমানোর প্রস্তাব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করে কমিটি। গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও কৃষি শিক্ষা বিষয় দুটো পাবলিক পরীক্ষা না নিয়ে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়। জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৯৫০ নম্বরে
গত কয়েকবছর যাবত এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বেপরোয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি প্রশ্ন ফাঁসের জন্য চারটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অন্যতম এমসিকিউ।