• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘অপ্রয়োজনীয় সিজার করালে হাসপাতাল বন্ধ’

প্রকাশ:  ২৭ মে ২০১৮, ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

অপ্রয়োজনীয় সিজার করালে প্রয়োজনে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অকারণে সিজার কমাতে একটি ফর্ম তৈরি করে সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৭০-৮০ শতাংশ গর্ভবতীকে বাচ্চা প্রসবের জন্য সিজার করা হচ্ছে। নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি কখনই আমাদের কাম্য নয়।

তিনি বলেন, অকারণে সিজার কমাতে আমরা একটি ফর্ম তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পাঠিয়েছি। সেখানে রোগীর পুরো তথ্য দিতে হবে। অপ্রয়োজনে সিজার করে মায়ের ক্ষতি করে দিলেন, কেন তাকে সিজার করতে হলো, কি কি অসুবিধা ছিল, মায়ের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা, স্বামীর অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা, কি কি জটিলতা ছিল- সব কিছু উল্লেখ করতে হবে। এই ফরমটি আমাদের কাছে এলে তা দেখার পর বোঝা যাবে অপারেশনটি প্রয়োজন ছিল কিনা। এ ছাড়া আমরা হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছি বিনাকারণে, অপ্রয়োজনে সিজার না করার জন্য।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সিজারের হার অনেক বেড়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক বাচ্চা প্রসব হয় ৪২ শতাংশ। সরকারি হাসপাতালে ২৫-৩০ শতাংশ মায়ের সিজারে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। আমরা সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব কমাতে মিডওয়াইফ তৈরির ওপর জোর দিয়েছি। চিকিৎসকের মাধ্যমে করাতে গেলেই সিজারে চলে যায়। কারণ চিকিৎসকরা সময় দিতে চান না। একটি দিন ধৈর্য ধরেন। বিশ্বব্যাপী প্রসবগুলো মিডওয়াইফরাই করে থাকেন। এ জন্য ৩৪ হাজার মিডওয়াইফকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, গর্ভবতী ও প্রসব-পরবর্তী সেবার জন্য সারা দেশের ৩৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে বিনামূল্যে ওষুধ এবং পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দরিদ্র মায়ের পুষ্টিহীনতা দূর করতে মাতৃত্বকালীন ভাতা ও প্রসবের সময় হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়া হচ্ছে। মাতৃমৃত্যু হার এখন হাজারে ১৭৬ ও শিশুমৃত্যু ২১ জন। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে শিশুমৃত্যু হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।

জাহিদ মালেক আরও বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, সব ধরনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ও পোশাক কারখানায় ব্রেস্টফিডিং কর্নার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। -একে

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী,হাসপাতাল
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close