মোদীর পরে মমতার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দুইদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার(২৫ মে) সকালে পশ্চিমবঙ্গে গেছেন। সকাল পৌনে ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সফরসঙ্গীদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনার এর সফরে শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডিলিট) গ্রহণ করবেন। এছাড়া দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শান্তিনিকেতনে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন শেষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।

কলকাতায় নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তি নিকেতনে যাবেন। সেখানে বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য প্রফেসর সবুজ কলি সেন শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

এরপর শেখ হাসিনা বিশ্ব ভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকে আম্রকুঞ্জে অনুষ্ঠানের পরে দুই প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী চলে যাবেন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনে। মূল অনুষ্ঠানের পর দুপুরে রবীন্দ্র অতিথিগৃহে মধ্যাহ্নভোজের সারবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, মধ্যাহ্নভোজের পর বৈঠকে বসবেন মোদী-হাসিনা। বৈঠকের একটা অংশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাকতে অনুরোধ করা হবে। এই বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। পাশাপাশি ডোকলামসহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চিনের সাম্প্রতিক আগ্রাসন নীতির সামনে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নতি করতে চাইবে ভারত।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা ফিরে এসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতা চেম্বার নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শনিবার (২৬ মে) প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে যাবেন। সেখানে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন।

অনুষ্ঠানে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিক্ষামন্ত্রী বক্তৃতা করবেন। এরপর তিনি কলকাতায় ফিরে নেতাজী সুবাস বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে পারেন শেখ হাসিনা।

এ বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। দু’দেশের মধ্যে সড়ক দিয়ে যে নতুন যাতায়াত ব্যবস্থার ভাবনাচিন্তা চলছে। মায়ানমার পর্যন্ত এই সড়কটি তৈরি করা হবে। সেটি এই বৈঠকের অন্যতম আলোচ্য বিষয় হতে পারে। এই একান্তে বৈঠকের পরে একে অপরের পাশে থাকার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হতে পারে এই বৈঠক থেকেই।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন।

অভি