পদত্যাগ নয়, ইসি পুনর্গঠন চাই : মির্জা ফখরুল
আবারও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করার যোগ্য নয়। তিনি বলেন, যারা একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে না, জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে পরিচালনা করবে?
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভার পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
সম্পর্কিত খবর
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বার বার করে বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনকে শুধু পদত্যাগ নয়, পুনর্গঠন চাই। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে ভেঙে দিয়ে কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খুলনা নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। সেই নির্বাচনেও তারা (সরকার) সেখানকার মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে- আজকে নতুন কায়দায় নতুন রূপে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে, ভোট কেন্দ্র দখলের রাজনীতি শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, খুলনা সিটি করপোশন নির্বাচনে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। গত ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ব্যাপক তাণ্ডব, ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জোর করে বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার জন্য আজকের যৌথসভায় নিন্দা জানানো হয়েছে। কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা না দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে তার মুক্তির দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, জন গোমেজ, আবুল কালাম আজাদ, হাফেজ আবদুল মালেক, মুনসী বজলুল বাসিত আন্জু, কাজী আবুল।
/এসএইচ