‘নির্বাচনে বিএনপি আ.লীগের তুলনায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে’
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগ বৈষম্যের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
তিনি বলেছেন, কেসিসি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় বিএনপি আওয়ামী লীগের তুলনায় বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে। আওয়ামী লীগের কোনো এমপি, মন্ত্রী সেখানে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
সম্পর্কিত খবর
বুধবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করেছিলাম, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাদেশিক মূখ্যমন্ত্রী সব নির্বাচনে তার দলের পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেখানে বাংলাদেশের এমপিরা কেন নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমাদের এই দাবি যে যৌক্তিক সেটি তারা (নির্বাচন কমিশন) পর্যালোচনা করে দেখেছে। যদিও বা সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত করেনি এবং সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করার কারণে আমরা আমাদের দলের সমস্ত সিনিয়র নেতারা মন্ত্রী কিংবা এমপি সেজন্য কেউই নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচন আজকের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল এবং এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপি প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিলো। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাদের (বিএনপির) সব ধরনের প্রচেষ্টা ছিল। তাদের প্রতিদিন সকালের কাজ ছিল খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করা এবং যে সমস্ত অভিযোগ তাদের (বিএনপির) পক্ষ থেকে করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে সেখানে অভিযোগ সঠিক পায়নি। এখন তারা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের যে অভিযোগগুলো দিচ্ছে তা নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো।
সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুধু নয়, ভারতের স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সবসময় গোলযোগ হয়। পশ্চিম বাংলায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সতেরো জনের মৃত্যু হয়েছিল কিন্তু খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরনের গোলযোগ নির্বাচনের আগেও হয়নি এবং নির্বাচনের দিনও হয়নি। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। পশ্চিম বাংলার মানদণ্ডেও অসম্ভব সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতি-পূর্বেকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তুলনায় খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেটি নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা অব্যাহত মিথ্যাচারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে এই ধরনের অভিযোগ না দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে ভালো করার চেষ্টা করুন এবং আপনাদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ওমর বিন আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, সোহেলি পারভিন মনি, নূর মোহাম্মদসহ প্রমুখ। -একে