• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ইউএনও’র বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ:  ২১ এপ্রিল ২০১৮, ১২:০০
মাগুরা সংবাদদাতা

মাগুরার শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমি মজুমদারের বিরুদ্ধে সরকারি তহবিলের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পোড়াগাছি নামক স্থানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিডিআরপি প্রকল্পের অধীন গৃহহীন লোকদের গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার নগদ ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং মাটির কাজের জন্য ৩৬.৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে।

সম্পর্কিত খবর

    ওই বরাদ্দের সরকারি তহবিলের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে মাগুরা জেলা প্রশাসন।

    সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি মজুমদারকে সভাপতি, শালিখা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) সামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মিরাজ হোসেনকে টেকনিক্যাল সদস্য করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে শিহাব আহম্মেদকে ঠিকাদার নিয়োগ করে ওই গুচ্ছ গ্রামের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    ‘কিন্তু সরকারের বরাদ্দ দেয়া টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনতা ব্যাংক আড়পাড়া শাখায় তার ব্যক্তিগত হিসাবে জমা করেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির অন্য কোনো কর্মকর্তা ও সদস্যর সাথে আলোচনা ব্যতীত ইউএনও নিজের খেয়াল খুশিমত বিভিন্ন সময়ে ৯টি চেকের মাধ্যমে প্রকল্পের সব টাকা উত্তোলন করে নিজ হেফাজতে রেখে খরচ করেন’, বলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির একাধিক সদস্য।

    জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল প্রকল্পের আওতায় ২০টি টিনের ঘর, টয়লেট, রান্নাঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে বিল ভাউচার সমাপ্তি প্রতিবেদন জমা দেন শালিখা ইউএনও।

    সূত্র আরো জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি মজুমদার ঠিকাদারের পাওনা টাকার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ কিস্তিতে ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করেন।

    সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বাকি পাওনা থাকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। ঠিকাদারের এই পাওনা টাকা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরোধ বাধলে প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসে।

    সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, ‘ইউএনও গুচ্ছ গ্রামে মাটির কোনো কাজ না করে ৩৭ টন চালের ডিও বাজারে বিক্রি করেছেন, যার মূল্য ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। অপর দিকে ঠিকাদারের দাখিলকৃত বিলের মধ্যে সরকারের বরাদ্দকৃত ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিল প্রদান করে বাকী ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং চাল বিক্রির ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার মধ্যে দেড় লাখ টাকার কাজ করে বাকী ১০ লাখ টাকাসহ মোট ১৭ লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেন।’

    জানা গেছে, এসব অপকর্ম ও দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট সকল বিল ও কাগজপত্র জব্দ করে তদন্ত শুরু করেছেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    শালিখা উপজেলা পিআইও মিরাজ হোসেন ও এসিল্যান্ড সামসুল আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, নামে মাত্র তাদেরকে সদস্য সচিব ও টেকনিক্যাল পার্সন রেখে ছিলেন। কোনো কাজের বিষয়ে ইউএনও তাদেরকে কোনো কিছু জানাননি।

    ইউএনও সূমি মজুমদার জানান, তিনি নির্দোষ ও পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন মাত্র। সূত্র: ইউএনবি

    /এসএম

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close