জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কবি বেলাল চৌধুরী
একুশে পদক পাওয়া কবি বেলাল চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেলাল চৌধুরীকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছে। কবির বড়ছেলে তার বড় ছেলে আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই কবি বেলাল চৌধুরী কিডনি জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ কোরায়েশীর তত্ত্ববধায়নে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
সম্পর্কিত খবর
শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেলাল চৌধুরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন না। দুই কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
গত ১৭ আগস্ট থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কবি বেলাল চৌধুরী। কবির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান প্রতীক চৌধুরী।
বেলাল চৌধুরী কবি পরিচয়ের পাশপাশি সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক হিসেবেও খ্যাতিমান। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে একুশে পদক পান।
১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের ফেনী উপজেলার অন্তর্গত শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল চৌধুরী। তারা বাবা রফিকউদ্দিন আহমাদ চৌধুরী ও মা মুনীর আখতার খাতুন চৌধুরানী। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ভারত বিচিত্রা পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’ প্রভৃতি।