সিটি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণায় ২০ দলের চার কমিটি গঠন
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা চালাবে। দুই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনে প্রচার ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয় সমন্বয়ের জন্য জোটের শরিক দলগুলো প্রতিনিধিদের নিয়ে চারটি কমিটি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এসব কমিটি গঠন করা হয়। তবে বৈঠকে জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
বৈঠকে গাজীপুরে জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারকে আহ্বায়ক ও এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সদস্য সচিব এবং খুলনায় এনপিপি সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আহ্বায়ক ও এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসাকে সদস্য সচিব করে কমিটি দুটি গঠন করা হয়। তবে বৈঠকে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। জোটের শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আন্দোলন ও আসন্ন দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ২০ দলের জরুরি এ সভাটি করে বিএনপি।
বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে দুই সিটি নির্বাচন নিয়েই শুধু আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, যদি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকে তাহলে ধানের শীষের প্রার্থীরা সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করবে।
গাজীপুরে মেয়র পদে জামায়াতের প্রার্থী সম্পর্কে তিনি বলেন, এ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার দরকার নেই। আগেই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর প্রয়োজন হলে তাদের সাথে (জামায়াত) আলোচনা করে মীমাংসা করা হবে। এটা নিয়ে কোন তর্ক-বিতর্কের কিছু নেই। বৈঠকে জামায়াতের কোন প্রতিনিধি না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, মামলা মোকদ্দমার কারণে তাদের অনেক সময় আত্মগোপনে থাকতে হয়। তবে আজকে তাদের অনুপস্থিতিটা ইচ্ছাকৃত নয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, এলডিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদির, জাগপার সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, লেবার পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবীব লিংকন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, জমিয়তে উলামার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন প্রমুখ।