ঢাবি ভিসির বাসভবনে হামলা
৭ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সহিংতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ‘অজ্ঞাতনামাদের’ নামে দায়ের করা মামলা সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। অন্যথায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান আন্দোলনরতদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরুল হক নূর।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা মামলায় যে কাউকে হয়রানি করা যায় তাই আমরা এটি প্রত্যাহার চাচ্ছি। একাত্তর, এটিএনসহ বিভিন্ন ফুটেজে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিন।
তিনি আরও বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর ও ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষীর তথ্য নিয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো অজ্ঞাতনামা মামলা রাখা যাবে না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা দোষীদের জিজ্ঞেস করলে সহজেই অপরাধীরা ধরা পড়বে।
নূরুল হক নূর বলেন, অধিকতর তদন্ত ও সহায়তার স্বার্থে আমরা ঢাবি প্রশাসন ও পুলিশকে আরো ৭ দিনের সময় দিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করে অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার চাচ্ছি। অন্যথায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র সমাজ বর্জন করবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতৃত্বদানকারীদের নানা রকম ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই আন্দোলনে নেতৃত্বধানকারী ও সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী প্রতিটি শিক্ষার্থী নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করছি।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অতিদ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, একটি মহলের ফেসবুক গুজবে কান দেবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা সবাই আমাদের জীবননাশের শঙ্কায় আছি। আমাদের আহ্বায়ককেও ভয় দেখানো হচ্ছে যার কারণে সে আজকের সংবাদ সম্মেলনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন চলাকালে গত ৮ এপ্রিল রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। ভবনের ভেতরে তছনছ চালানোর পাশাপাশি বাইরেও গাড়ি ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল রাতে শাহবাগ থানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বাদী হয়ে মামলা চারটি দায়ের করে। শিক্ষার্থীরা এই মামলায় ‘হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কায়’ প্রথম থেকেই প্রত্যাহারের দাবি তুলে আসছেন।