• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মুজিবনগর সৌধের নির্মাণ কাজ শেষ হলো না আজও

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০১৮, ১৯:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের স্বাধীনতার সুতিকাগার ঐতিহাসিক মুজিবনগর। দেশ-বিদেশের পর্যটক ও আগ্রহী মানুষ প্রায়ই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী প্রথম বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের স্মৃতি বিজড়িত স্থান মেহেরপুরের মুজিবনগর পরিদর্শনে আসেন। তাই মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয় ১৯৯১ সালে।আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কাজ শুরু হতে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া ওই কাজ ২০ বছরেও শেষ হয়নি। ৬শ কোটি টাকা ব্যয় হলেও ‘মুজিবনগর প্রকল্প’ এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তবে সম্প্রতি মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্রের ভাস্কর্যে পরিবর্তন আনতে ৩শ কোটি টাকার নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

১৯৭১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মুজিবনগর ছিল অবহেলিত। ১৯৯১ সালে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে গড়ে তোলা হয় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, রেস্ট হাউজ, তোরণ এবং মুজিবনগর পাঠাগার ও ক্লাব। আওয়ামী লীগ সরকার মুজিবনগরকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৩০ একর জমির উপর শুরু করে মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্থাপনের কাজ। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, নকশা তৈরিতে শম্বুকগতি, আর্থিক সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া কাজ ২০ বছরেও শেষ হয়নি।

সম্পর্কিত খবর

    জানা গেছে, মুজিবনগর কমপ্লে­ক্স স্থাপন প্রকল্পের শুরুটা ছিল নানা সমস্যা জর্জরিত। প্রকল্পের অন্যতম ত্রুটি ছিল নকশা ছাড়া একনেকে প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় নকশা তৈরির কাজ করে। বাংলাদেশের মানচিত্রের কাজ ২০০৫ সালের শেষের দিকে শুরু হয়ে ২০০৬ সালের মাঝামাঝিতে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১০ সালের জুন মাসে শেষ হয়েছে। মুজিবনগর কমপ্লেক্সের স্থাপন প্রকল্পের কাজে স্থানীয় সরকার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ গৃহায়ন ও গণপূর্ত, পরিবেশ ও বন, সমাজ কল্যাণ, ধর্ম, স্বরাষ্ট্র এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ১১টি মন্ত্রণালয় অর্থ বরাদ্দ দিলেও মূল তত্ত্বাবধানে রয়েছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

    গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোক্তার হোসেন দেওয়ান বলেন, ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া মুজিবনগর কমপ্লেক্সের পুরো কাজ সময়মত অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত শেষ করা সম্ভব।

    মেহেরপুর-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন জানান, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্রের ভাস্কর্য পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এজন্য এবার ৩শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সাদা সিমেন্টে তৈরি ভাস্কর্যগুলো সরিয়ে সেখানে ব্রঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। এ জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’ নতুন করে ২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেস্ট হাউজ, লেক ব্রিজ, শিশুপার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা করা হবে।’

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close