• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মৌলভীবাজার-১ আসনে আ.লীগের ‘এক মিশন’

প্রকাশ:  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৩৪ | আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৫৫
এম. এ. কাইয়ুম

নৌকার ঘাটি হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী দুটি উপজলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-১ আসনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের একটি মাত্র টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার দলীয় হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদের নির্বাচনী এ এলাকায় আসন্ন একাদশ নির্বাচনেও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের দখলে রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ই হল স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা এবং জুড়ী উপজেলার ৬ ইউনিয়ন রয়েছে মৌলভীবাজার-১ আসনের অধীনস্থে।

এ আসনে জামায়াতের শক্ত অবস্থানকে নড়বড়ে করেত আ’লীগের এ টার্গেট কোন মতেই মিস করতে রাজি নয় জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদও।

সম্পর্কিত খবর

    ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি আর জামায়াতের ৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থী নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছেন এ আসনে।

    এক সময়ের নৌকার ঘাটি খ্যাত এ আসনে আ’লীগের ভোট ব্যাংক হচ্ছে ১৯ টি চা বাগানের চা শ্রমিক ভোটার। আ’লীগের এ দুর্গে প্রথম আঘাত আনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)। ৯১’র নির্বাচনের জাপা প্রার্থী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী বিজয়ী হন।

    ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শাহাব উদ্দিন হারানো আসন পুনরুদ্ধার করেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি পরবর্তী নির্বাচনে। অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী জাতীয়পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগদান করে ২০০১ সালের জোটবদ্ধ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি-জাময়াত জোট সরকারের প্রতিমন্ত্রী হন।

    ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহাব উদ্দিন আহমদ পুনরায় নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে জাতীয়পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী আহমদ রিয়াজকে পরাজিত করে তিনি তৃতীয়বারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন।

    বর্তমানে তিনি সরদলীয় হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নির্বাচিত হয়েছেন সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের শক্ত কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী না থাকায় হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদও আছেন বেশ ভালো অবস্থানে।

    আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ আসন আ’লীগের দখলে থাকবে জানিয়ে জুড়ী উপজেলা আ’লীগের আহব্বায়ক বদরুল হোসেন পূর্বপশ্চিমকে বলেন, দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত আমাদের এ আসনে শাহাব উদ্দিন আহমদের বিকল্প নেই। স্থানীয় আ’লীগের এক মাত্র মননোনিত প্রার্থী তিনি (শাহাব উদ্দিন)। কারোও কারোও টাকা থাকতে পারে তবে আ’লীগের ভোট ভাঙ্গার ক্ষমতা রাখে না।

    জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুইপ শাহাব উদ্দিন আহমদ প্রার্থী হচ্ছেন নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। গত দুই মেয়াদে বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলায় ২১টি স্কুল এমপিওভুক্ত, সুজানগর পাথারিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা, ৭০টি প্রাইমারী স্কুলের ভবন নির্মাণ, ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী-বড়লেখা-চান্দগ্রাম সিএন্ডবি সড়ক সংস্কার ও ৫০টি ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট আধুনিক রেস্ট হাউজ, ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কাঁঠালতলী-মাধবকুন্ডু রাস্তা সংস্কার করেছেন।

    বড়লেখা ও জুড়িতে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করেছেন। বড়লেখা ও জুড়ী অত্যাধুনিক থানা ভবন, বড়লেখা ও জুড়ী হাসপাতাল, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ ভবন, বড়লেখা ৫শত আসন বিশিষ্ঠ অডিটেরিয়াম নির্মাণ ছাড়াও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। সা¤প্রতিক বন্যা দুর্গতদের পাশে দাড়িয়েছেন। সরকার ও বিভিন্ন ব্যক্তি সংগঠনের পক্ষে ব্যাপক ত্রাণ বিতরণ করছেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close