চাঁদপুরে দোকানের কর্মচারীকে হত্যার দায়ে পাঁচ জনের ফাঁসি
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মোঃ মাসুদ রানা (২৩) নামে এক দোকান কর্মচারীকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার দুপুর ১টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, পশ্চিম লুধুয়া বেপারি বাড়ির আবদুল বারেক বেপারীর ছেলে মোঃ ফারুক ওরফে নবী (২৫), একই এলাকার মৃত মোখলেছুর রহমান মুন্সির ছেলে মোহাম্মদ আলী মুন্সি (২৮), মৃত নোয়াব আলীর ছেলে মোঃ আবদুল খালেক মোল্লা (৩২), দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের মোঃ আবদুর রহিম বেপারীর ছেলে ইয়ামিন বেপারি (২৪) ও একই এলাকার আবুল কাশেম মাঝির ছেলে মোঃ সেলিম মাঝি (২২)।রায় ঘোষণার সময় দুইজন উপস্থিত থাকলেও ইয়ামিন বেপারী, আবদুল খালেক মোল্লা ও সেলিম মাঝি পলাতক রয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
মামলার বিবরণে জানা যায়, মাসুদ মতলব দক্ষিণ বাজারে বাদল নামে এক তৈল ব্যবসায়ীর দোকান কর্মচারীর কাজ করতো। ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে সে বাড়িতে আসে। ২০০৮ সালে ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে আসামি মোঃ আলী বাড়িতে গিয়ে মাসুদকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আর মাসুদ রাতে বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজখুজি করে ছেলেকে না পেয়ে ৯দিন পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে মাসুদের বাবা মোঃ রবিউল দর্জি।পরে ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টায় গোভাওর এলাকায় একটি ডোবার কচুরিপানার নীচ থেকে পুলিশ তার গলিত লাশ উদ্ধার করে। এরপর ৮জনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
এর ২০০৯ সালের ৩০ মে এসআই আকরাম হোসেন মজুমদার ও আঃ ওহাব আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ৫ জনকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
মামলার বাদী রবিউল দর্জি দাবি করে বলেন, আটজন আসামিই পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। অথচ তিনজন বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে আপীল করবো।