সাবা তানি'র মৃত্যুতে যা বললেন ফেরদৌস ওয়াহিদ
আশি ও নব্বই দশকের পপ সঙ্গীতের এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম সাবা তানি । জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী এককভাবে মাতিয়ে রেখেছিলেন তার শ্রোতা ভক্তদের। হঠাৎ করেই আজ মঙ্গলবার নিজ বাসায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি মা, দুই ভাই, দুই বোন ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। প্রথিতযশা এই কন্ঠশিল্পী দীর্ঘদিন ধরেই নিম্ন রক্তচাপে ভুগছিলেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসার বাথরুমে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আশি ও নব্বই দশকের সময়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ, আজম খান, পিলু মমতাজদের মত শিল্পীদের পাশাপাশি নিজের কন্ঠ আর যোগ্যতা দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন সে সময়ের শ্রোতাদের মন। কন্ঠশিল্পী সাবা তানি’র মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীতাঙ্গনে।
সম্পর্কিত খবর
সাবা তানিকে নিয়ে পূর্বপশ্চিমের সাথে কথা বলেছেন কন্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। কন্ঠশিল্পী সাবা তানি কে নিয়ে ফোনে প্রশ্ন করতেই কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকেন শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। নীরবতা শেষে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। আমি আমার গ্রামের বাড়ি এসেছিলাম। খবরটা শুনেই এখন আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। জানিনা গিয়ে তাকে দেখতে পারব কিনা। আসলে আমি সাবা তানি কে নিয়ে কি বলব। সে খুব প্রমিজিং একজন শিল্পী ছিল এবং সেই সময়ে আমি বলব পিলু মমতাজের পরে যদি শ্রোতাদের হৃদয়ে ঝড় কেউ তুলে থাকে সেটা সাবা তানি। আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ ও স্নেহের ছিল সে। সবসময় আমাদের সবার সাথে যোগাযোগ রাখত মেয়েটি। আমি সত্যিই খুব মর্মাহত এই মেয়েটার জন্য। সে তার মন থেকে গান বাজনা করত। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গীতের ভালো সে চাইত। আমার সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগছে যে একটা ভালো মানুষ আমাদের মাঝ থেকে চলে গেল’।
ফেরদৌস ওয়য়াহিদ আরো বলেন, ‘সাবা তানি আমাদের জুনিয়র ছিল, কিন্তু সে তার সঙ্গীতের চর্চা ও সাধনার গুণ দিয়ে আমাদের সকলের মন জয় করে নিয়েছিল। বলতে পারেন পিলু মমতাজের পর আসলেই যদি কেও সাড়া জাগায় সে ছিল সাবা তানি। তাছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন(বিটিভি) তে একচ্ছত্র কাজ করেছে সে। ও অনেক ভদ্র একটা মেয়ে ছিল। সাবা তানির এভাবে চলে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পারছি না। সাবা তানি’র প্রস্থানে আমি মনে করি তরুণ শিল্পীদের একটা ভালো ও সুন্দর প্রেরণা চলে গেল’।
উল্লেখ্য, সাবা সাবা তানির মৃত্যু সংবাদ শুনে অনেকেই উত্তরায় তার বাসায় ছুটে যান। তার একমাত্র ছেলে এখন লন্ডনে আছেন। মৃত্যুকালে তিনি মা, দুই ভাই, দুই বোন ও এক ছেলে রেখে গেছেন। সাবা তানির জনপ্রিয় হওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘কিছুক্ষণ’, ‘কোনো বৈশাখী রাতে যদি’। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও মঞ্চে গান গেয়ে জনপ্রিয় হন সাবা তানি। তার গাওয়া কিছু গজল ওই সময় খুব প্রশংসিত হয়েছিল।
/এটিএম ইমু