কাউকে ঘুমাতে দেব না: সোহেল
বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় ঘুমাতে পারছে না জানিয়ে বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা তারা ঘুমাতে না পারলে কাউকে ঘুমাতে না দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির প্রতীকী অনশনে দলের যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এই হুঁশিয়ারি দেন।
সম্পর্কিত খবর
সোহেল বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে ঘুমাতে পারছেন কি না জানি না। আমরা ঘুমাতে পারছি না। আর আমরা যদি ঘুমাতে না পারি তাহলে কাউকে ঘুমাতে দেব না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পর থেকে আজ অবধি পাঁচ দিন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগের দিন তাদেরকে ‘হঠকারী’ কোনো কর্মসূচি দিতে নিষেধ করেছেন এবং এ কারণে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছেন। আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
টানা পাঁচ দিনের কর্মসূচিতে বিএনপি সেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েনি, তেমনি বিএনপি নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন ‘নমনীয়’।
তবে পঞ্চম দিনে অনশন কর্মসূচিতে বিএনপির নেতারা আবার ‘কঠোর কর্মসূচির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টা থেকে অনশন শুরু হয়ে শেষ করার কথা ছিল বিকাল চারটা অবধি। তবে নেতা-কর্মীরা সড়কে অবস্থান নেয়ায় চলাচলে দুর্ভোগের কথা বলে পুলিশ বেলা একটার মধ্যে অনশন শেষ করার কথা জানায়। পরে বেঁধে দেয়া সময়েই উঠে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর আগেই অনশন শেষ হওয়ায় মির্জা ফখরুল তেমন বক্তব্য দিতে পারেননি।
এর আগে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ৮০’র দশকে এক রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্বামীকে হারিয়েছেন। এক এগারোর সময় তিনি কারাগার থেকে ফিরে দেখলেন তার এক ছেলে অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে আছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তিনি মা হয়ে ছোট সন্তান আরাফাত রহমান কোকোর লাশ দেখতে হয়েছে। সেই নেত্রী এখন কারাগারে।’
বিএনপি এখনও ‘নমনীয়’ কর্মসূচি দিয়ে আসলেও প্রয়োজনে কঠোর হবে বলেও জানান সোহেল। বলেন,‘আমাদের নেত্রী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলেছেন তাই আমরা তার নির্দেশ মেনে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। এটা কে কেউ বিএনপির দুর্বলতা ভাবেন না, তাহলে ভুল করবেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে একমাত্র সোহেলই রাজপথে মিছিল করতে দেখা গেছে।
এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতের পথে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে ঘিরে হঠাৎ বিএনপির নেতা-কর্মীদের যে মিছিল হয়, সেখানে নেতৃত্ব দেন সোহেল।