• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কূটনীতিকদের খালেদার মামলার বিষয়ে জানাল বিএনপি

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:১১ | আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০১:০৭
অনলাইন ডেস্ক

আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতে 'মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক' মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

মঙ্গলবার দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কূটনীতিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টার বৈঠকে নেতারা কূটনীতিকদের খালেদা জিয়ার মামলা ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিতে সরকারের বাধা দেওয়াসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত খবর

    এ সময় কূটনীতিকরা কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। খালেদা জিয়ার মর্যাদাপূর্ণ ডিভিশন প্রাপ্তির বিষয়ে দলের নেতাদের কাছে নিশ্চিত হতে চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

    বৈঠকের শুরুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এরপর কূটনীতিকরা নানা বিষয়ে জানতে চান। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতারা তাদের অবহিত করেন। কূটনীতিকদের প্রশ্নের বেশিরভাগই খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক ছিল বলে জানা গেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার মামলাকে 'মিথ্যা ও ভিত্তিহীন' দাবি করে এটাকে রাজনৈতিক মামলা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। মামলার রায়ের পর সরকার প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে প্রাপ্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এছাড়া মামলার রায়ের অনুলিপি প্রদান নিয়েও সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে জানান বিএনপি নেতারা।

    বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির একজন নেতা সমকালকে জানান, এবারের বৈঠকটিতে কূটনীতিকদের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তারা অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছেন। তারা মনোযোগ দিয়ে সকল বক্তব্য শুনেছেন এবং নোট নিয়েছেন। আবার বিএনপির পক্ষ থেকেও তাদের মামলার সকল ডকুমেন্টস সরবরাহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    বিএনপি নেতারা কূটনীতিকদের জানান, সরকার এখন 'একদলীয় শাসন ব্যবস্থা' চালু করতে চাইছে। এ সময় বিএনপি নেতারা সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলার একটি পরিসংখ্যন তুলে ধরেন এবং তাদের মামলার নথি দেন বলে জানা গেছে।

    মহাসচিব তার লিখিত বক্তব্যে জানান, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এ কারণে বিএনপি নির্দলীয় সহায়ক সরকার ব্যবস্থা চাইছে।

    বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের একজন সদস্য জানান, বেশিরভাগ কূটনীতিক সদস্যই খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা ও তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন। তাকে এখন ভিআইপি মর্যাদার ডিভিশন দেওয়া হয়েছে কি-না তা জানতে চেয়েছেন। এ সময় কূটনীতিকরা খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রশংসা করেন। তারা আগামী জাতীয় নির্বাচন সকলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ দেখতে চান বলে জানিয়েছেন।

    বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ড. এনামুল হক চৌধুরী, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বেবী নাজনীন ও তাবিথ আউয়াল।

    বাংলাদেশে অবস্থানরত ২২টি দেশের কূটনীতিকরা বিএনপির আমন্ত্রণে এ বৈঠকে অংশ নেন। এর মধ্যে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ছাড়া পাকিস্তান, ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সৌদি আরব, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও কয়েকটি দেশের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি উপস্থিত ছিলেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close