উচ্চ আদালতে আপিল ও জামিনের আবেদন হচ্ছে না আজ
দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আরও কয়েকদিন কারাগারে বন্দী থাকতে হচ্ছে। কারণ সাজার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল ও জামিনের আবেদন হচ্ছে না আজ। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা রায়ের সার্টিফাইড কপি না পাওয়াই এর কারণ।
এরই দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে জানান, রায়ের বিরুদ্ধে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল করে জামিন আবেদন করতে পারবেন বিএনপি নেত্রী। আর ততদিন পর্যন্ত তাকে কারাগারেই থাকতে হবে। আপিল করার আগে রায়ের সার্টিফাইড কপি লাগবে বলেও জানান তিনি।
সম্পর্কিত খবর
ফলে খালেদা জিয়াকে আরও কয়েকদিন কারাগারেই বন্দী থাকতে হবে। সেটা কত দিন তা অবশ্য জানা যায়নি।
১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এতিমদের কল্যাণে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা অস্তিত্বহীন ট্রাস্টের নামে বরাদ্দ করার অভিযোগে করা মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দু্র্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।
আর রায় ঘোষণার পর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নেয়া হয় বকশিবাজারে পুরনো কারাগারে। সেখানে বন্দীদের সন্তানদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টারের দুটি কক্ষ আগে থেকেই তৈরি করা ছিল।
আইনজীবীরা জানান, সার্টিফাইড কপি যোগাড় হলে কোন কোন যুক্তিতে আবেদন করা হবে, সেটি সুনির্দিষ্ট হতে হবে। এরই মধ্যে কিছু কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৬৩২ পৃষ্ঠার। এটির খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করতে হবে। এ জন্যই কিছু সময় লাগবে।
শনিবার বিকালে কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আপিলের বিষয়টি নিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় কথা বলেন তার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুর রেজ্জাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী। তবে আপিলে কী বলা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তারা।
এর আগে রায়ের বিষয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন মওদুদ আহমেদসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সেখানে কোন কোন যুক্তিতে আপিল করা হবে এমন প্রশ্নে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা এখন বলব না, কোন গ্রাউন্ডে আবেদন করব।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
/পি.এস