• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘লাউয়ের দামে মুরগিই পাওয়া যায়’

প্রকাশ:  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৩২
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রাজধানীর নিম্ন-মধ্যবিত্তরা সাধ করে লাউ খাবেন সে উপায় নেই। নগরের বাজারগুলোতে লাউয়ের দাম অনেকটাই সাধারণের নাগালের বাইরে। মাঝারি আকারের একটি লাউয়ের দাম ব্যবসায়ীরা চাচ্ছেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এক মসের বেশি সময় ধরে ঢাকার বাজারগুলোতে লাউয়ের এমন আকাশচুম্বি দাম।

শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত লাউয়ের দাম যখন এমন লাগামহীন তখন শীতের অন্য সবজিগুলো বেশ সস্তায় মিলছে। শীতের সবজির পাশাপাশি অন্য সবজির দামও রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। ফলে লাউয়ের দাম নিয়ে হতাশা থাকলেও অন্য সবজি ক্রেতাদের স্বস্তিই দিচ্ছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    শুক্রবার কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে লাউ আসছে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে আড়তে দাম বশি। শীতের সময় সাধারণত লাউয়ের সাদ বেশি থাকে। যে কারণে এই সবজিটির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহও থাকে বেশ। মূলত ক্রেতাদের আগ্রহের কারণেই দাম এমন বাড়তি।

    শান্তিনগর বাজারে প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। লাউয়ের এমন দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, আড়ত থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আর দাম বেশি হলেও তো ক্রেতাদের সমস্যা নেই। প্রতিদিন যে লাউ আনি তা ওই দিনই বিক্রি হয়ে যায়। একটি লাউও অবশিষ্ট থাকে না।

    রামপুরা বাজার থেকে সবজি কিনেছেন ফাতেমা বেগম। তিনি বলেন, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি সবকিছুর দামই এখন মোটামুটি কম। কিন্তু লাউয়ের দাম তো কমছে না। একটা লাউয়ের দাম চায় ১০০ টাকার ওপরে। অথচ গত বছর এমন সময় এসব লাউ ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হয়েছে। লাউয়ের যে দাম হয়েছে, এখন ওই দামে মুরগিই পাওয়া যায়। আপনিই বলেন তাহলে মুরগি খাবো না লাউ খাবো। সাধ করে যে লাউ খাবো সে উপায় আসলে এখন নেই। লাউ এখন আর আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য না।

    এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিপিস ফুলকপি আগের সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে পাওয়া যাচ্ছে পাতাকপি। গত সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম (ওলকপি)। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

    তবে কিছুটা দাম বেড়েছে শিমের। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর দাম কমার তালিকায় রয়েছে টমেটো। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।

    আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ। আর পাইকরি বাজারে পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

    কারওয়ানবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. রুবেল মিয়া বলেন, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪২ থেকে ৪৩ টাকা দরে। আমাদের কাছে আমদানি করা পেঁয়াজ নেই, তবে শ্যামবাজারে আমদনি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখেছি।

    সূত্র: জাগোনিউজ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close