চুমু খাওয়ার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

‘শেষের কবিতায়’ লাবণ্যর উদ্দেশে অমিত রায় লিখেছিল, চুমিয়া যেয়ো তুমি/আমার বনভূমি/দক্ষিণ-সাগরের সমীরণে। প্রেমের সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল চুমু। চুমুর মাধ্যমে বোঝা যায় প্রেমিক যুগলের মধ্যে সততা, বিশ্বস্ততা। প্রেমের সম্পর্কে অজস্র কথা যা প্রকাশ করতে পারে না তা সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে একটি আলতো চুমু।

চুম্বনের কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। এসব উপকারিতা তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।

১. দাঁতের ক্ষয়রোধ

অনেকেরই চুমু খাওয়ার আগে মুখ ও দাঁতের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু স্যালভিয়া নিঃস্বরণ বাড়ায়। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, খাবারের কণাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।

২. ক্যালরি ক্ষয়

আপনি যদি মনে করেন, শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালরি ক্ষয় করা যাবে, তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়া হলে প্রতি মিনিটে মাত্রাভেদে এক থেকে দুই ক্যালরি ক্ষয় হয়। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন চুমুকে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।

৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

চুমুর ফলে একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে রোগজীবাণু স্থানান্তরিত হতে পারে। তবে এতে শুধু ক্ষতি হয় না, উপকারও হয়। কারণ সীমিত মাত্রায় বিভিন্ন জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে গেলে জীবাণুটির বিরুদ্ধে কিছু ক্ষেত্রে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

৪. মানসিক চাপ কমায়

চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।

৫. অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমায়

চুম্বনে অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমায়। বিশেষ করে মৌসুমী অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে চুম্বনের ফলে। জাপানি এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

/অ-ভি