ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা
ইথিওপিয়ার সংস্কারপন্থী নতুন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের এক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পর পরই প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ জুন) সকালের দিকে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে বেশ কয়েকবছর ধরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে আসছে। খবর আলজাজিরা ও বিবিসি বাংলার।
হামলার ঘটনার পর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে আহমেদ বলেন, ইথিওপিয়াকে যারা ঐক্যবদ্ধ দেখতে চান না; তারাই এই ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
আবি আহমেদ বলেন, সমাবেশে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। হামলায় এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে বার্তাসংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। গ্রেনেড বিস্ফোরণে হতাহতের শিকারদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আবি।
পূর্বপশ্চিম বিশ্বকাপ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হেইলেমরিয়াম দেসালেনের অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের পর ক্ষমতায় আসেন আবি আহমেদ। জাতিগত ওরোমো গোষ্ঠী থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই গোষ্ঠী দেশটিতে গত তিন বছর ধরে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছিল। ওরোমোদের বিক্ষোভ-সহিংসতায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ইথিওপিয়ার বৃহৎ জাতিগত গোষ্ঠী হওয়া সত্ত্বেও তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে উপেক্ষিত হয়ে আসছে বলে ওরোমোদের প্রধান অভিযোগ।
রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা ও নিপীড়নসহ দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তবে আবি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে দেশটিতে বন্ধ থাকা শতাধিক ওয়েবসাইট ও টেলিভিশন চ্যানেল পুনরায় খুলে দিয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
/এইচকে