ডিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি আবুল কাসেম খানের সঙ্গে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাঃ তায়ীব সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এফটিএ স্বাক্ষরের আহবান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞতির মাধ্যমে এ সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশানর বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটা ধরে রাখার জন্য বিদ্যমান অবকাঠমোখাতের সংষ্কার ও উন্নয়ন আরও তরান্বিত করা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যের পরিসংখ্যানে প্রতীয়মান হয় যে, মালয়েশিয়া বেশ এগিয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতিসম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত “ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট” অনুযায়ী মালয়েশিয়া ব্যবসা পরিচালনার সূচকে ২০তম স্থান হতে ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসা পরিচালনা সূচকে আরো উন্নতির সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার জানান, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার হালাল পণ্যের বাজার সবচাইতে বৃহৎ এবং এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বাজারে হালাল পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। এছাড়াও তিনি আশিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহে বাংলাদেশি পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগের জন্য এদেশের ব্যবসায়ীদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য প্রবেশ দ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে, এজন্য তিনি বাংলাদেশকে “আশিয়ান” এ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, মালয়েশিয়ার বাজারে হালাল পণ্য রফতানির বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার বিষয় এবং বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে হালাল পণ্য রফতানির সাটিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া চালু করতে এদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি দু’দেশের মধ্যকার বিনিয়োগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অতিদ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপর জোরারোপ করেন। ডিসিসিআই’র সভাপতি বাংলাদেশে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি খাতে আরো বেশি হারে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।
সাক্ষাৎ এ আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিসিসিআই সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইঞ্জিঃ আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, ইঞ্জিঃ মোঃ আল আমিন, এস এম জিল্লুর রহমান এবং ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
ওএফ