• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

লেংগিং ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে শ্রম কাউন্সিলরের বৈঠক

প্রকাশ:  ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫৮ | আপডেট : ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৯:০১
আহমাদুল কবির (মালয়েশিয়া)

মালয়েশিয়ার লেংগিং ক্যাম্পের কমান্ডারের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে নেগরি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন বিভাগের এসিষ্টেন্ট ডাইরেক্টর ও লেংগিং ক্যাম্পের কমান্ডার জুরাইন বিন মো: ইদ্রিছের সঙ্গে ছিলেন ক্যাম্পের উচ্ছপদস্থ কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মো: সায়েদুল ইসলাম বলেন, অহেতুক বন্দী না রেখে দ্রুত দেশে প্রেরণ এবং যাদেরকে কোম্পানি কাজে নিতে চায় তাদের কোম্পানির অধীনে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া যারা রিহায়ারিং প্রক্রিয়ায় আছে তাদের যেন বৈধ হবার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

    কাউন্সিলর বলেন, ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরত প্রেরণ এবং অহেতুক বাংলাদেশি কর্মীদের হয়রানি না করার আশ্বাস দেন কামান্ডার জুরাইন বিন মো: ইদ্রিছ।

    এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিদিনের মেগা-থ্রি অভিযানে বাংলাদেশিসহ অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে দেশটির, সিমুনিয়া, লেঙ্গিং, জুরুত, তানাহ মেরায়, মাচাম্বু, পেকা নানাস, আজিল, কেএলআইএ সেপাং ডিপো, ব্লান্তিক, বুকিত জলিল ও পুত্রজায়ায় রাখা হচ্ছে।

    তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

    হাইকমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়, এ সব ক্যাম্পে যে সকল বাংলাদেশি রয়েছেন যাদের সাজা শেষ হচ্ছে তাদের দেশে পাঠানো হচ্ছে।

    মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারাগার ও ক্যাম্পে যারা আটক আছেন, তাদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ কিংবা অবৈধভাবে থাকার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন, ১৯৫৯-এর ধারা ৬(১) সি/১৫ (১) সি এবং পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৬-এর ১২(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    শ্রম কাউন্সিলর জানান, বন্দী শিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত দেশে পাঠানোর সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিবরা প্রত্যেকটি বন্দী শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব যাচাই এবং সনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    এক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে বন্দীদের নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ শুনে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যাম্পে কতজন বাংলাদেশি আটক রয়েছে তাদের তালিকা দ্রুত মিশনে পাঠাতে বলা হয়েছে।

    ওএফ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close