• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

মালয়েশিয়াস্থ সিলেট ডায়নামিক ফেডারেশনের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা

প্রকাশ:  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৮
আহমাদুল কবির

মালয়েশিয়াস্থ সিলেট ডায়নামিক ফেডারেশনের উদ্যোগে মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে কুয়ালালামপুর বাংসারে এ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।

ডায়নামিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের কৃতি সন্তান মালয়া ইউনিভার্সিটির পিএইচডি স্কলার, রিসার্চ এ্যাসিস্টেন্ট মোহাম্মাদ নাজমুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আহমাদুল কবির।

সম্পর্কিত খবর

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডায়নামিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা মো: আতিকুর রহমান বেলাল।সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহসভাপতি দিলওয়ার হোসেন, সহসভাপতি অালী অাহমদ, সহসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (জাহান) ,সহসাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদপ্রমূখ।

    আলোচনা সভায় ভাষা আন্দোলনে সিলেটিদের ভূমিকা নিয়ে বক্তারা বলেন, সিলেটে ভাষা আন্দোলন শুরু হয় ১৯৪৮ সালের আগেই।১৯৫২ সালের মার্চ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে সিলেট ছিল অগ্রণী। ঢাকার বাইরে সিলেটের জনজীবনেই ভাষা আন্দোলন’ ৫২-এর আগে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছিল। এখানকার বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং ছাত্রসমাজ গোড়াতেই সচেতনার পরিচয় দেন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, মাসিক আল ইসলাহ, সাপ্তাহিক নওবেলাল পত্রিকা বাংলা ভাষার পক্ষে সাহসী ভূমিকা গ্রহণ করে। সিলেটে মহিলারাও ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে রাষ্ট্রভাষার পক্ষে প্রথম জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় সিলেটে।১৯৪৮ সালে সাপ্তাহিক নওবেলাল যখন বাংলার পক্ষে সাহসী ও জোরালো আওয়াজ তুলে, তখন ঢাকা থেকে কোনো দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। ভাষা আন্দোলনে দীর্ঘ পথ পরিক্রমা অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক মরমীর জন্মভূমি, হযরত শাহজালাল (রহ.) তিনশ’ ষাট আউলিয়ার কর্মভূমি, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট গ্রহণ করে অগ্রণী ভূমিকা। ভাষা আন্দোলন শুধু সিলেটেই নয়, সিলেটি অনেকেই ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।

    রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিভিত্তিক উভয় ময়দানে ঢাকাবাসী সিলেটিদের উপস্থিতি ছিল সামনের কাতারে। ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক সংগঠন পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিস ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু ? নামে একটি সাময়িকী প্রকাশ করে। এ সংগঠনের মূখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক বের হয় ১৯৪৮-এর শেষ দিকে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে বহুল আলোচিত এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কথাসাহিত্যিক সিলেটের শাহেদ আলী। তিনি ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া যারা ভাষা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন, কারাভোগ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ (বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা), কথাশিল্পী সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, মরহুম শাহ এএমএস কিবরিয়া (সাবেক অর্থমন্ত্রী) মরহুম এম. সাইফুর রহমান (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী) জাকারিয়া খান চৌধুরী, কুলাউড়ার রওশন আরা বাচ্চু, আহমদ কবির চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. আখলাকুর রহমান, এসএম আলী, (ডেইলী স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক), মাহবুবুল বারী, মোয়াজ্জেম আহমেদ চৌধুরী, সদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী (শাবির প্রথম ভিসি), আবুল মাল আব্দুল মুহিত (অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামালীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য), মোঃ ইলিয়াসুর রহমান প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন,ভাষা আন্দোলনে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সম্পাদক মুহম্মদ নুরুল, হক সম্পাদিত আল ইসলাহ এবং রাজনীতিবিদ মাহমুদ আলী পরিচালনাধীন ও দেওয়ান মুহম্মদ আজরফ সম্পাদিত সাপ্তাহিক নওবেলালের অগ্রণী ভূমিকা রাষ্ট্রভাষার আন্দোলনকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

    আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, অাবুল মনছুর চৌধুরী ,অর্থ সম্পাদক ওসমান গণি, এমাদ উদ্দিন, লায়েক আহমদ, কলিম উদ্দিন, মোসাদ্দিক হুসেন, ইমরান আহমদ শিপন, রহমান, আব্দুল ওয়াদুদ, মিজানুর রাহমান( মাসুম), কর্মসংস্তান সম্পাদক আবুল কালাম ,ক্রীড়া সম্পাদক তানভীর আহমদ, সহক্রীড়া সম্পাদক শিবু দা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাওছার আহমদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: আশরাফুল আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ. কে.এম আব্বাস, পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শাহ শাহিন, জুনেদ আহমদ, নুরুল হোসেন রায়হান অাহমদ জুয়েল অাহমদ রুহুল অামিন সুমন আহমদ সহসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    আলোচনা সভা শেষে ভাষা শহীদদের অাত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close