আওলাদ হোসেন ছিলেন তারকাদের তারকা
২০১৫ সালের আজকের এই দিনে সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সকলের প্রিয় চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। আজ তাঁর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৫ সালের এই দিনে হঠাৎ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের আকস্মিক মৃত্যু এখনো কাঁদিয়ে বেড়ায় এদেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকা ও সাংবাদিকদের।
শুধুমাত্র তারই লেখনীর মাধ্যমে এদেশের অনেকে আজ তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাইতো মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনকে তারকাদের তারকা বা তারকাদের প্রিয় সাংবাদিক বলা হয়। ১৯৬৬ সালের ১৯শে আগস্ট ঢাকার ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রয়াত এ জনপ্রিয় সাংবাদিক। বাবা মৃত মোবারক হোসেন ও মা লুৎফুন্নেসার ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। হাম্মাদিয়া হাইস্কুলের মানবিক বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি, ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি ও জগন্নাথ কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
১৯৮৭ সালে দৈনিক খবরের ম্যাগাজিন সাপ্তাহিক ছায়াছন্দে সহ-সম্পাদক পদে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা শুরু। দীর্ঘ ১৫ বছরের কর্মজীবন ছেড়ে ২০০৪ সাল থেকে দৈনিক মানবজমিনে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক যুগান্তর, সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা, সাপ্তাহিক মনোরমা, সাপ্তাহিক বর্তমান দিনকাল, সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক প্রিয়জন, পাক্ষিক বিনোদন বিচিত্রা, চ্যানেল আইয়ের পাক্ষিক আনন্দ আলো, পাক্ষিক আনন্দ ভুবন পত্রিকায় নিয়মিত আমন্ত্রিত লেখক হিসেবে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিবিষয়ক কলাম ও প্রতিবেদন লিখেছেন।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি দেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রতিবেদকদের অধিকার আদায় ও চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-২০০৩ কার্যবর্ষে ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক’ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এফডিসির মসজিদে বাদ আসর পুরানো সহকর্মীসহ অনেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছেন।
/এ আই