সিনেমায় অভিনয়ের প্রলোভনে যৌন সম্পর্কে চাপ, গ্রেফতার পরিচালক
সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে এক মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা। আর সেই প্রস্তাব না মানায় হেনস্থা, এমনকী প্রাণে মারারও হুমকি। এই অভিযোগে কলকাতার এক শর্ট ফিল্ম মেকারকে শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম অর্ণব রায়।
অভিযোগকারী মহিলা জানিয়েছেন, অর্ণবের ছেলে এবং তার মেয়ে বাগুইআটির একটি বেসরকারি স্কুলে এক সঙ্গেই পড়ত। সেই সূত্রেই অর্ণবের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছিল ২০১৫ সালে। প্রথম দিকে কোনও সমস্যা না হলেও কিছুদিন পর থেকেই সিনেমায় কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ফোনে বারংবার অশালীন প্রস্তাব দেন অর্ণব। অর্ণবকে এড়ানোর জন্য ২০১৬ সালে তিনি নিজের ফোন নম্বর পর্যন্ত বদলে ফেলেছিলেন। এতে কিছুদিনের জন্য মুক্তি মিলেছিল ঠিকই, কিন্তু ওই মহিলা তপসিয়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে যুক্ত, সেই হাসপাতালের ‘ল্যান্ড লাইন’-এ অর্ণব তারপর নিয়মিত ফোন করতে শুরু করেন।
সম্পর্কিত খবর
মহিলার দাবি, মতলব বুঝতে পেরে তিনি অর্ণবকে এড়ানের চেষ্টা করেছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, অর্ণবের ফোন এলে না দেওয়ার জন্যে। এতে নাকি অর্ণব আরও খেপে যান। মহিলা টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ আনেন অর্ণব।
যদিও মহিলার বক্তব্য, অর্ণবের অভিযোগ যে মিথ্যে তা আমি আদালতে প্রমাণ করে দিয়েছি।
এরপর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে আরও। মহিলার কথায়, অর্ণবের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি আরই খারাপ হয় এ বছরের ২৭ মার্চ। সেই দিন কেষ্টপুরে মহিলার বাড়ি গিয়ে চড়াও হন অর্ণব। বাড়িতে মহিলাকে না পেয়ে তার শাশুড়িকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহিলার চরিত্র সম্পর্কে নানান মন্তব্য করে, তিনি যে সংস্থায় কর্মরত সেখানেও নাকি ইমেল করেন অর্ণব। পাল্টা ওই মহিলাও তপসিয়া থানায় অভিযোগ জানান। পাশাপাশি এফআইআর করা হয় বাগুইআটি থানায়।
অবশেষে শুক্রবার রাতে অর্জুনপুর এলাকা থেকে অর্ণব রায়কে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মহিলার অভিযোগ, তিনি অর্ণবের স্ত্রীকে গোটা ঘটনা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। অর্ণবের চক্রে তার স্ত্রীও জড়িয়ে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই মহিলা।