জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, অতঃপর...
কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন মাঝবয়সি এক মহিলা। সেই সময়ে ওই মহিলার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মুখ চেপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে এক যুবক।
সোমবার (২২ অক্টোবর) ভারতের দুপুরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় এই অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে একটি বাতিস্তম্ভে বেঁধে শুরু হয় বেদম মার।
সম্পর্কিত খবর
খবর পেয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। লতিফ মণ্ডল নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুর ২টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগে জানান, একটি নির্জন জায়গায় ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ওই যুবক আচমকাই তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার মুখ চেপে ধরে টানতে টানতে একটি ঝোপে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। তাকে মাটিতে ফেলে গলা টিপে ধরে লতিফ ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ওই মহিলার চিৎকার শুনে মাঠে ধান কাটতে থাকা লোকজনেরা ছুটে আসেন। তারা তাড়া করে ধরে ফেলেন বছর তিরিশের ওই যুবককে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লতিফের বিরুদ্ধে বছরখানেক আগেও এক বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সে জেলও খেটেছিল। তারপরে আবার এদিনের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা লতিফকে গণধোলাই দেন। মাথা ফেটে যায় লতিফের।
সিংহেরআটির বাসিন্দা লতিফের স্ত্রী ঘটনার খবর পেয়ে আসেন। তার দাবি, লতিফ নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযোগ, এ কথা শুনে স্থানীয়েরা লতিফের স্ত্রীকেও মারধর করে।
বিশা কাহার নামে এক মহিলার অভিযোগ, এলাকার অনেক মেয়ে কাজে যায়। আগেও এমন চেষ্টা করেছে লতিফ। ওর কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, লতিফের চিকিৎসা চলছে। অভিযোগের তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/অ-ভি