খাশোগিকে টুকরো-টুকরো করে জঙ্গলে পুতে রাখা হয়: সৌদি
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় এবার সামনে আসলো নতুন তথ্য। খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল, জানালেন সৌদির এক অফিসারও। তা হলে কি রাজ পরিবারের নির্দেশেই খুন করা হয়েছিল খাশোগিকে? প্রশাসন মুখ না খুললেও প্রশ্নটা আবারও উঠেই গেল।
তুরস্ক জানিয়েছিল, নিজেদের তদন্ত-রিপোর্ট শিগগিরিই গোটা দুনিয়াকে জানাবে তারা। ফুঁসছে ওয়াশিংটনেরও একাংশ। আঙ্কারার দাবি, খুনের পরে সাংবাদিকের দেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে জঙ্গলে পুঁতে দিয়েছে ঘাতকেরা।
সম্পর্কিত খবর
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সৌদির এক অফিসার জানান, প্রায় ১৫ জন ব্যক্তি গিয়েছিলেন খাশোগির মুখোমুখি হতে। খাশোগিকে হত্যা করতেই নাকি সেখানে পাঠানো হয়েছিল তাদের।
তিনি বলেন, ওই দলে সেনা সদস্যও ছিলেন। এর পরই খাশোগিকে অপহরণ করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হবে, এমনটাও বলা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও খাশোগি বাধা দেন। এরপরই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। কিন্তু খাশোগিকে খুন করা হয়েছে, এই তথ্য চাপা দিতেই নাকি তারই পোশাক পরে এক ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন কনসুলেট থেকে। সেই ব্যক্তি একটি গাড়িতেও উঠেন।
এই তথ্য প্রকাশের পরই আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। খাশোগিকে কীভাবে মেরে ফেলা হল, কারাই বা মেরে ফেলেছিল, তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। এক দলের দাবি রাজ পরিবারের সমালোচক হওয়ার কারণেই খাশোগিকে খুন করেছে সৌদি সরকার। খাশোগি-রহস্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
সংবাদমাধ্যমের একাংশ আবার বলছে, চাপে রেখে সৌদিকে মুখ খুলতে বাধ্য করছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোয়ানই।
কূটনৈতিক শিবিরের একাংশ বলছেন, তদন্ত সঠিক পথে এগোলে বিপাকে পড়বেন সৌদি যুবরাজ। কারণ, খাশোগি-খুনে নাম জড়িয়েছে মহম্মদ বিন সালমানের মুখ্য পরামর্শদাতা সৌদ আল-কাহতানি এবং গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী-প্রধান আহমেদ আল-আসিরির। বহিষ্কৃত এই দুই কর্তাই যুবরাজের ঘনিষ্ঠ।
/অ-ভি