• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

সার্ক সম্মেলন চান ইমরান, অনীহা মোদির

প্রকাশ:  ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৪৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চলতি বছরের শেষে সার্ক সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য কোমর বাঁধছে পাকিস্তান। জানা যায়, বিষয়টি ইমরান খানের ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে একাধারে মর্যাদা রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির কাছে পৌঁছানোর প্রশ্ন।

২০১৬ তে ভারতের সার্বিক প্রয়াসে ভেস্তে গিয়েছিল সার্ক। উরি হামলার জেরে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সার্ক বয়কট করেছিল ভারত।

সম্পর্কিত খবর

    প্রশ্ন হল এবারের সার্কে যোগ দিতে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসলামাবাদে যাবেন কি না। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ইমরানের পক্ষ থেকে শীর্ষ পর্যায়ের কোনও রাজনৈতিক নেতাকে দূত হিসেবে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের দিক থেকে ভারতকে সার্কের মঞ্চে হাজির করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। কারণ এটি হবে সাম্প্রতিক অতীতে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি-প্রয়াসের সবচেয়ে বড় এবং প্রথম বিজ্ঞাপন। যা ইমরান ছাড়তে নারাজ।

    কিন্তু সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সার্কে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে মোদির। নভেম্বরে গোটা দেশে ভোটের মৌসুমে শুরু হয়ে যাবে। তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এবং তার পরেই লোকসভা।

    সূত্র মতে, এমন স্পর্শকাতর সময়ে ইসলামাবাদে গিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকা তথা পশ্চিমা দুনিয়াকে কিছুটা খুশি করতে পাকিস্তানের সঙ্গে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপগুলি নিঃশব্দে বজায় রেখে যাওয়া এক বিষয়।

    কিন্তু ইসলামাবাদের মাটিতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ফেরা সম্পূর্ণ অন্য কথা। এখনও পর্যন্ত দিল্লির ঘোষিত অবস্থান, সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।

    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্তার কথায়, প্রধানমন্ত্রী হয়তো পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন করে ফিরলেন। তার পরেই দেশের কোথাও অথবা কাশ্মীরেই সন্ত্রাসবাদী হামলা হল। তাতে সরকারের চরম মুখ পুড়বে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল পাঠানকোটের সেন ছাউনিতে হামলার সময়ে।

    পাঠানকোট হামলার এক সপ্তাহ আগে বিনা আমন্ত্রণেই মোদী গিয়েছিলেন লাহৌরে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পারিবারিক অনুষ্ঠানে। ভোটের আগে এমন কোনও ‘ভুল’ সরকার আর করতে চাইবে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close