‘দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে ঐক্যমত পোষণ’
দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে ঐক্যমত পোষণ করেছেন সাবাহ রাজ্যের চীফ মিনিষ্টার মোহাম্ম্দ শফি আপদাল। শুক্রবার (৩ আগস্ট) বেলা পৌনে ৩ টায় রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম চীফ মিনিষ্টার মোহাম্ম্দ শফি আপদালের কার্যালয়ে সাক্ষাত কালে মিনিষ্টার এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাবাহ প্রদেশ বর্তমানে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ট্যুরিজম সেক্টরে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে এবং এসকল সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে সিস্টেমেটিক দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী।
সম্পর্কিত খবর
এ দিকে চীফ মিনিষ্টারের সঙ্গে আলাপ কালে রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। সে মোতাবেক বাংলাদেশ হতে প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোক নিয়োগ যেহেতু মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি করে শ্রম নিয়োজন শুরু করেছে সেহেতু সাবাহ রাজ্য সরকারকেও অনুরুপভাবে শ্রম নিয়োজনের জন্য অনুরোধ করা হলে চিফ মিনিস্টার আশা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে সাবার নিজস্ব নিয়ম কানুন ও পলিসি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ট্যুরিষ্টরা আসেন মালয়েশিয়াতে। বাংলাদেশী ট্যুরিষ্টরা সাবাহ ভ্রমন করার আহবান জানান। এ ছাড়া দু”পক্ষ যাতে সমান ভাবে লাভবান হয় সেদিকেও নজর দেয়া হবে।
সাক্ষাৎকালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিতরা বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এ সকল অসহায় লোকদের পাশে থেকে যে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাতে সাধুবাদ জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন।
এ দিকে মালয়েশিয়া সময় বেলা আড়াইটায় চীফ সেক্রেটারী মি:হাশমির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই অবস্থায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তারই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধতা পেয়েছে। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ কোন পথে হাটছে। চীনের পরেই গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশ, আগমী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যের সুপ্রসার ঘটলে দুই দেশই লাভবান হবে। গভর্ণরকে আস্বস্থ করেন রাষ্ট্রদূত। এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় গভর্ণর মাহির উদ্দিনের সঙ্গে ও সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন,মিনিষ্টার (পলিটিক্যাল) মো: রাইছ হাসান সারোয়ার, শ্রম কাউন্সেলর মো: সায়েদুল ইসলাম ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো: রাজিবুল আহসান।
সাবাহ বোর্নিও দ্বীপের উত্তর অংশে অবস্থিত। সাবাহের দক্ষিণপশ্চিমে সারওয়াক রাজ্যে। এবং দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়ার কালিমান্তান অঞ্চল এবং উত্তর ও পূর্ব ফিলিপাইনের সাথে সামুদ্রিক সীমান্ত অঞ্চল। কোটা কিনাবলু রাজধানী শহর, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কেন্দ্র । সাবাতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেনফরেস্ট এবং প্রচুর প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রজাতির সাথে একটি সমুদ্রীয় জলবায়ু রয়েছে। রাজ্যের দীর্ঘ পার্শ্ববর্তী পর্বতমালা ক্রোকার রেঞ্জ ন্যাশনাল পার্কের একটি অংশ। কিনাবাটানগান নদী, মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাবা ও মাউন্ট কিনবারালের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী সাবাহ । আয়তন এক লাখ ৭ হাজার ৬ কি:মি। লোক সংখ্যা প্রায় ৩ মিলিয়ন।